স্বদেশ ডেস্ক:
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ১ লাখ ৬২০ ডোজ কাদের দেয়া হবে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে সোমবার। এ নিয়ে দুপুরের দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হওয়ার কথা।
রাত ১১টা ২০ মিনিটে দেশে পৌঁছাবে ফাইজারের টিকা। এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘আজ (সোমবার দুপুরে একটা মিটিং হবে। এই মিটিংয়ে এই বিষয়ে (টিকা কারা পাবে) সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
তিনি বলেন, মায়ের মৃত্যুতে বাড়ি গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বাড়ি থেকে ফিরে এসেছেন। আজই মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। ‘এখানে (বৈঠক) আজ রাতে আসা ফাইজারের টিকা কাদের দেয়া হবে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। হয়তো আজ মন্ত্রী এ বিষয়ে বলতে পারেন।’
ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিশ্বের সব দেশে করোনার টিকা নিশ্চিতের প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশকে।
কোভ্যাক্স প্ল্যাটফর্মটি গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি) এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের (সিইপিআই) উদ্যোগে।
এই জোটের মাধ্যমে প্রতিটি দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য বিনা মূল্যে টিকার ব্যবস্থা করার কথা। কোভ্যাক্স থেকে প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি ২৭ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বিশ্বজুড়ে টিকার সঙ্কট দেখা দেয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, ফাইজারের ডোজগুলো সংরক্ষণ করতে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেফ্রিজারেটর দরকার। ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে পাঁচ দিন। আর রেফ্রিজারেটরের বাইরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে দুই ঘণ্টা।
উৎপাদক প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, কার্যকারিতার দিক থেকে ফাইজারের টিকা করোনা প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড, সিনোফার্মের টিকা বিবিআইবিপি-করভি, রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভির মতো ফাইজারের টিকাও নিতে হয় দুই ডোজ করে।