স্বদেশ ডেস্ক:
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের ধাক্কায় আজ সোমবার ২৬ জন নিহত হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে ওই স্পিডবোটটি ‘লুকিয়ে’ চলছিল বলে জানিয়েছেন নৌচলাচল নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
তিনি বলেন, ‘শিমুলিয়া ঘাট তো তালা মারা। ওই ঘাট দিয়ে কোনো নৌযান চলাচল করছে না। লঞ্চগুলোও ঘাটে নোঙর করা। স্পিডবোটটির চালক চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ‘‘গোপনে’’ যাত্রী তুলে পারাপার করছিল।’ তবে স্পিডবোটটি অবৈধ নয়, এর চলাচলে অনুমতি ছিল বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধের লকডাউনে গত ৫ এপ্রিল থেকেই সারা দেশে নৌযান চলাচল বন্ধ। তার মধ্যেও শিমুলিয়া ঘাট থেকে স্পিডবোট চলতে দেখা গেছে। ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে চলছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’।
সোমবার ভোরে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় থাকা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের ধাক্কা লাগে। এতে ২৬ যাত্রী নিহত হন। ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও দুজন মারা যান। ঘটনাস্থলে শিবচর ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালান।
শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আশিকুর রহমান জানান, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজারের দিকে আসছিল স্পিডবোটটি। ঘাটের কাছাকাছি এলে নোঙর করা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে স্পিডবোটটি উল্টে যায়।
এই ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া নিহতের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ডা. রহিমা খাতুন। আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।