বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন

টঙ্গীর সেই ইয়াবা কারবারি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

টঙ্গীর সেই ইয়াবা কারবারি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

স্বদেশ ডেস্ক:

গাজীপুর মহানগরের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা মো. রেজাউল করিম। কক্সবাজার থেকে মাদক এনে টঙ্গীর বিভিন্ন কারবারিদের হাতে পৌঁছে দিতেন তিনি। সম্প্রতি, সাজ্জাদুল ইসলাম মনির নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগের এই নেতা। ভুক্তভোগীর স্ত্রী শিল্পী আক্তার এ ঘটনায় বাদি হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে রেজাউল করিমকে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় ছাত্রলীগ নেতা মো. রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রো টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। রেজাউল টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুৎমিশ।

মুঠোফোনে আমাদের সময়কে ইলতুৎমিশ বলেন, রেজাউলের বিরুদ্ধে জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানায় চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন দত্তপাড়া এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে গত এপ্রিল দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় ‘ছাত্রলীগ নেতার হাতে টঙ্গীর ইয়াবা কারবার’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই ওই ছাত্রলীগ নেতার বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। তারই জেরে ইয়াবা কারবারে রেজাউলের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।

জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার ইলতুৎমিশ আরও বলেন, ‘একইদিন নবিন হোসেন নামে একজন মাদক কারবারিকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ৭৭০ গ্রাম গাজা এবং ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে নবিন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, উদ্ধারকৃত ৫০০ ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশে রেজাউল করিম তাকে সরবরাহ করেছে।’

উল্লেখ্য, আলোচিত ওই ছাত্রলীগ নেতার মূল ব্যবসাই ইয়াবা। কক্সবাজার থেকে মাদক এনে টঙ্গীর বিভিন্ন কারবারিদের হাতে পৌঁছে দিতেন রেজাউল করিম। চাঁদাবাজিতেও নাম উঠে এসেছে এই ছাত্রলীগ নেতার। গাজীপুরের টঙ্গীর ব্যাংকের মাঠ বস্তি ও কেরানীর টেক বস্তি এলাকার মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতা সাঈদা বেগম ইয়াবাসহ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনাকে ঘিরেই রেজাউলের মাদক সম্পৃক্ততার বিষয়টি আমাদের সময়ের নজরে আসে। জামিনে থাকা সাঈদার সঙ্গে রেজাউলের মুঠোফোন আলাপে সাঈদার কথাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, রেজাউলের মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা এনে টঙ্গীতে সরবরাহ করা হয়েছে। ওই এক লাখ ইয়াবা বেহাত হওয়ার জন্য সাঈদাকেই দায়ী করেন এ ছাত্রলীগ নেতা। এ নিয়ে দুজনের কথোপকথনে পুরো চিত্র উঠে আসে। রেজাউল ও সাঈদার কথোপকথনের বিস্তারিত আমাদের সময়ে প্রকাশিত হবার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গোপনে ব্যাপক অনুসন্ধান চলতে থাকে। গ্রেপ্তার মাদক কারবারি নবিন হোসেনও স্বীকার করেন, ডিলার রেজাউলের কাছ থেকে তিনি ৫০০ পিস ইয়াবা পেয়েছেন। অবশেষে উপ-পুলিশ কমিশনার ইলতুৎমিশের নেতৃত্বে এক দল চৌকস পুলিশ মহানগরের দত্তপাড়ায় অভিযান চালিয়ে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে আদালতে তোলার প্রস্তুতি চলছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877