স্বদেশ ডেস্ক:
রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালীতে বাস, মাইক্রোবাস ও সিএনজির মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মাইক্রোবাসে আগুন ধরে গেলে ভেতরে থাকা ১১ যাত্রী পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
সিএনজির ভেতরে থাকা যাত্রীদের অনেককে আশঙ্কাজনকভাবে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে যাওয়ার পর আরও ৬ যাত্রী মারা যায়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে কাটাখালীর কাপাশিয়া এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী কামাল হোসেন বলেন, রাজশাহী থেকে হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। অন্যদিকে যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস ঢাকা থেকে রাজশাহী শহরের দিকে ঢুকছিল। এ ছাড়া একটি সিএনজি (ইমা গাড়ি) রাজশাহী শহর থেকে বানেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীবাহী পরিবহন এই তিনটি পরিহন ওই এলাকায় পৌঁছালে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বাসের যাত্রীদের কোনোকিছু না হলেও যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের সামনের দিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আগুন ধরে যায়। ওই আগুন সিএনজিতে লাগে। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে মাইক্রোবাসের কেউ বের হতে না পারায় ভেতরে থাকা ১১ যাত্রীই পুড়ে মারা যায়।
এ ছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিএনজির যাত্রীদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়াস ৬ যাত্রী মারা গেছে বলে বলে জানান রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে মাইক্রোবাসে থাকা ১১ যাত্রীর সবাই পুড়ে মারা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রীদের পরিচয় জানা যায়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুইজন।’
ওই দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তিনটি যানবাহনের এভাবে মুখোমুখি সংঘর্ষ আসলে কী কারণে হলো, তা জানা যায়নি।