স্বদেশ ডেস্ক: আসন্ন ঈদুল আজহায় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা গরুগুলো চুরির হাত থেকে রক্ষায় উল্লাপাড়ার গ্রামে গ্রামে লোকজন রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা নিয়েছেন। উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় খামারিরা বেশ কয়েক মাস ধরে তাদের পালিত গরুগুলো মোটাতাজাকরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি খামারেই বেশকিছু গরু আসন্ন ঈদুল আজহায় বিক্রির প্রস্তুতি চলছে। কিছুদিন ধরে এ এলাকায় গরু চোরের উৎপাত বেড়েছে। গত সপ্তাহে বড়হর ইউনিয়নের পূর্বদেলুয়া গ্রামের খামারি আব্দুল লতিফের চারটি গরু চুরি হয়ে গেছে। এসব গরুর মূল্য তিন লাখ টাকা। এই চুরির ঘটনার পর গোটা এলাকায় গরু চুরি রোধে লোকজনের মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়। তারা রাত জেগে গ্রাম পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছেন।
পূর্বদেলুয়া গ্রামের খামারি আবুল কালাম ও মানিক জানান, তাদের খামারে পালিত গরুগুলো কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করতে প্রচুর অর্থ ও শ্রম ব্যয় হয়েছে। গরুগুলো বিক্রি হলে কিছু লাভ ঘরে আসবে। কিন্তু চুরি হয়ে গেলে তাদের সর্বনাশ হয়ে যাবে। এজন্য তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় প্রতিটি গ্রাম ও মহল্লায় পালাক্রমে গরু পাহারার ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বড়হর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাবলু কুমার রায় জানান, গরুর খামারিদের উদ্যোগে তার এলাকায় প্রতিটি গ্রামে রাতে পাহারার ব্যবস্থা নিয়েছেন গ্রামবাসী। তিনি এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছেন। কোরবানির ঈদের আগে মূল্যবান গরুগুলো রক্ষায় রাত জেগে পাহারা কার্যক্রম ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। এ বিষয়ে বড়হর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক নান্নু জানান, প্রতি বছরই কোরবানি ঈদের আগে গরু চোরের তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। এ বছর পূর্বদেলুয়া গ্রামে চারটি গরু চুরির পর খামারিরা সতর্ক অবস্থানে চলে যান। আগামী ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন এই চেয়ারম্যান।