স্বদেশ ডেস্ক: বৃটেনে লকডাউন ও ভ্যাকসিন প্রয়োগের কারণে অবশেষে কমতে শুরু করেছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। গত তিনদিন ধরে মৃত্যু ও আক্রান্তের কমার হার ধারাবাহিক থাকায় আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বিশেষজ্ঞসহ দেশটির মানুষ। বর্তমান কমার হার নিচের দিকে থাকলে তিনধাপে লকডাউন প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। দেশটিতে লকডাউন কিভাবে শিথিল করা যায়- এ বিষয়ে আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারি রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে সরকার সতর্ক থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী ৮ই মার্চ থেকে স্কুল কিভাবে পুনরায় চালু করা যায়- এটা থাকবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে। এরপর অপ্রয়োজনীয় দোকান, তারপর পাব, রেস্টুরেন্ট খাত খোলা হবে জানালেও কবে খোলা হবে তার কোন সঠিক তারিখ না জানিয়ে অপেক্ষা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি আশা করেছেন, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কিছুটা বিধি-নিষেধ শিথিল করা শুরু হবে। তবে সামাজিক দূরত্ব ও ফেস মাস্কের নিয়মগুলো সম্ভবত আরও কয়েক মাস থাকবে।
গত শনিবার দেশটিতে ৬২১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার ৭৫৮ জন, বৃহস্পতিবার ৬৭৮ জন ও বুধবার ছিলো ১০০১ মৃত্যুবরণ করেন। দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০৮ জন। একই সঙ্গে শনিবার আক্রান্ত ছিলেন ১৩,৩০৮ জন। শুক্রবার ১৫,১১৪ জন, বৃহস্পতিবার ১৩,৪৯৪ জন ও বুধবার ১৩,০১৩ জন। মোট আক্রান্ত ৪০ লক্ষ ২৭ হাজার ১০৬ জন। তবে ফেব্রুয়ারিতে লকডাউন প্রত্যাহার বা শিথিল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, আগামী এক মাসের ভেতরে বৃটেনে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে দাবি করেছেন দেশটির হাসপাতালের শীর্ষ কর্মকর্তা ক্রিস হপসন। তিনি বলেছেন, একদিকে মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে মানুষ সচেতন হচ্ছে। সরকারের দেয়া বিধি-নিষেধ মেনে চলার কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। এইভাবে ভ্যাকসিন দেয়া কার্যক্রম চলতে থাকলে এবং সবাই সরকারের নিয়ম মেনে চললে এক মাসের ভিতরে বৃটেনে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। অপরদিকে, বৃটিশ হেল্থ সেক্রেটারি ম্যাক হ্যাংকক বলেন, আগামী সামারে আমরা সবাই করোনামুক্ত সামার উপভোগ করবো।