স্বদেশ ডেস্ক:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে। তবে কর্মসূচি শুরুর আগেই যুবদল ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিক্ষোভের শেষ দিকে নেতাকর্মীদের পুলিশ হামলা করে দাবি করেছে বিএনপি।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও এর আগেই শুরু হয় বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাব ও সচিবালয় এলাকা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
কর্মসূচিতে আসা যুবদলের একটি মিছিলকে প্রতিহত করতে যায় পুলিশ। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ উত্তেজনার মধ্যেই শুরু হয় বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি।
কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বক্তব্য দেওয়ার পর বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান (সোহেল)। এরপর দলটির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন বক্তব্য দেওয়া শুরু করার পরই পুলিশ হামলা চালায় বলে দাবি করেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কনেতাকর্মীদের মিছিল ও স্লোগানে পুরো প্রেসক্লাব ও আশপাশের এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কর্মসূচিতে আরও অংশ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।
ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের মহানগর পর্যায়ে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।