স্বদেশ ডেস্ক: সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে প্রশাসনের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড ও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন। আজ শনিবার দুপুরে তার নিজ অফিসে ভোট বর্জনের এ ঘোষণা দেন তিনি।
বিএনপি মনোনীত এই মেয়র প্রার্থী অভিযোগ করেন, প্রার্থী হওয়া সত্বেও তাকে ভোটকেন্দ্রে থাকতে দেওয়া হয়নি, মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে ভেতরে থাকতে দেওয়া হয়নি তার পক্ষের এজেন্টকেও। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে পুলিশ বাঁধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সকাল ৯টার আগেই প্রতিটি কেন্দ্রের ব্যালটে সিল মারা শেষ করে ফেলেছে। পৌরসভার ভোটার নয় এমন নারী-পুরুষদের এনে ভোটকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। ভিতরে প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় পুলিশ ভোট কেটে বাক্স ভরছে। তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ভোট হতে পারে না। এটি নির্বাচন নয়, তামাশা।
বিএনপি প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ফরহাদ হোসেন জানান, আমাকে কোন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। মারপিট করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার মুরালীকাটি গ্রামের একজন ভোটার আবুল খায়ের জানান, আমি ভোট দিতে গেলে আমাকে বের করে দিয়েছে। ভোট দিতে দেয়নি।
এদিকে, পৌরসভার গোপিনাথপুর ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের ছবি ও ভিডিও নিতে বাঁধা দেন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সনকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক পলাশ আমাদের সময়কে জানান, কেন্দ্রের ভিডিও নিতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বাঁধা দেয়। গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। ঘটনাটি আমি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে গোপিনাথপুর ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত ম্যাজিষ্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।