স্বদেশ ডেস্ক: ফেনীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৮ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। গতকাল সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান সাক্ষ্য উপস্থাপন করলে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।
এক পর্যায়ে সোমবারের কর্মদিবস শেষ হয়ে যাওয়ায় পূর্ব নির্ধারিত সোনাগাজী বাজারের ফার্মেসি দোকানদার জহিরুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পারেনি। আজ মঙ্গলবার (নবম দিন) জহিরুল ইসলামসহ হল পরিদর্শক মো. বেলায়েত হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই এ মামলার সাক্ষি কার্যক্রম চলছে। এ নিয়ে হত্যা মামলার ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এদিকে নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির মামলায় ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন মামলাটি ৪ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করেন। অভিযোগপত্র গ্রহণ হবে কি-না এ বিষয়ে শুনানি হবে আজ ৯ জুলাই।
নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার যৌন হয়রানির মামলায় বুধবার (০৩ জুলাই) আদালতে নিকট চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই। ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। ১০ পৃষ্ঠার দাখিলকৃত চার্জশীটে একমাত্র আসামি সিরাজ উদ দৌলা। ৪ জুলাই সেটির শুনানি হলে আজ ৯ জুলাই তারিখ ধার্য করেন আদালত।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু বলেন, নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির মামলায় বৃহস্পতিবার চার্জশিটের ওপর আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের স্থানান্তর করা হয়েছে। কারণ মামলাটি সোনাগাজী আমমি আদালতে কার্যক্রম চলার এখতিয়ার বহির্ভূত। ফলে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের স্থানান্তর করা হয়েছে।