স্বদেশ ডেস্ক: নামাজ ফার্সি শব্দ। এর আরবি হল সালাত। নামাজ বা সালাত কায়েম করা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধিমান মুসলমানের জন্য ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য।
নামাজ এক ধরনের নিয়ামত। এটি সর্বাপেক্ষা উত্তম দোয়া বা প্রার্থনা। আল্লাহতায়ালা কুরআনে কারিমে ইরশাদ করেন- নিশ্চয়ই নামাজ [নামাজিকে] অশ্লীলতা এবং মন্দ কাজ থেকে মুক্ত করে। -সূরা আনকাবুত : ৪৬
আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন- তুমি তোমার পরিবারদের নামাজের তাগিদ করতে থাক। আমরা তোমার কাছে কোনো রিজিক চাই না; বরং আমরাই তোমাকে রিজিক দিচ্ছি। বস্তুত তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্যই উত্তম পরিণাম।-সূরা ত্বাহা : ১৩৩
আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিক পরিমাণে রাত জেগে নামাজ পড়তেন।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক জানেন, তুমি দাঁড়িয়ে থাক রাতের দুই-তৃতীয়াংশের কিছু কম এবং কখনো অর্ধেকাংশ এবং কখনো বা এক তৃতীয়াংশ এবং [দাঁড়িয়ে থাকে] তাদের এক দলও যারা তোমার সঙ্গে রয়েছে। -সূরা মুজ্জাম্মিল : ২১।
নামাজের মাধ্যমে আজ্ঞানুবর্তিতার শিক্ষা লাভ করা যায়। তাছাড়া নেতার অধীনে চলা, সময়ানুবর্তিতা, সামাজিক সাম্য, একতা ও ভ্রাতৃত্ব, দৈহিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিশুদ্ধতা, একাগ্রচিত্ততা, পাপবর্জন এবং পুণ্যার্জন, আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ এবং নিদর্শন লাভ করা, সামাজিক কদাচার পরিহার, শান্তি ও সুস্থির মনোভাব, কষ্ট-সহিষ্ণুতা এবং সময়ের সদ্ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে নামাজে বহু শিক্ষা রয়েছে।
সর্বোপরি নামাজের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভ করা যায়। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, সিজদা করো কাছে আসো। এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, যে যত বেশি সিজদা করবে, সে তত বেশি আল্লাহতায়ালার কাছে যাবে; অর্থাৎ নৈকট্য লাভ করবে।