শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:৫২ অপরাহ্ন

নতুন বই পাবে না বন্ধ স্কুলের শিক্ষার্থীরা

নতুন বই পাবে না বন্ধ স্কুলের শিক্ষার্থীরা

স্বদেশ ডেস্ক:

করোনায় বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাচ্ছে না। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ীই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষার্থী বই না পেয়ে যেন শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে না পড়ে সে জন্য পাশের স্কুলে যোগাযোগ করে নতুন বই সংগ্রহ করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের শুরু থেকেই করোনায় কাবু হতে থাকে বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে আয় না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় বেশ কিছু কিন্ডার গার্টেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত বেতন আর টিউশন ফি ছিল এসব প্রতিষ্ঠানের আয়ের মূল উৎস; কিন্তু অনেক কিন্ডার গার্টেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখানকার শিক্ষার্থীদের বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার সাথে জড়িত কয়েকজন উদ্যোক্তা নয়া দিগন্তকে জানান, দেশে এখন ৬০ হাজারের বেশি বেসরকারি স্কুল-কলেজ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থী। আর এখানে শিক্ষকতায় জড়িত রয়েছেন ১০ থেকে ১১ লাখ শিক্ষক; কিন্তু করোনার কারণে গত ৯ মাসে বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান। ফলে এসব বন্ধ স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য জেলা বা উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো বই বরাদ্দ রাখা হচ্ছে না।

ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা বাজারের ইন্সপায়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক অধ্যক্ষ নাজমুন নাহার রেখা এই প্রতিবেদককে জানান, আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। তবে করোনায় বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের খরচ জোগাতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তবে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের প্রতি মাসেই বড় অঙ্কের টাকা শুধু ভবনভাড়া বাবদই পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে আর্থিক সঙ্কটে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ কিন্ডার গাার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, দেশে বেসরকারি পর্যায়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলে ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সারা দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে অনেক প্রতিষ্ঠান করোনায় বন্ধ হয়ে গেছে। এই সংখ্যা হবে কয়েক হাজার। আর এসব বন্ধ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও হবে দুই থেকে তিন লাখ। সরকার যদি বন্ধ প্রতিষ্ঠানে নতুন বই বরাদ্দ না দেয় তাহলে এই কয়েক লাখ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

করোনাকালে বন্ধ প্রতিষ্ঠানে নতুন বই বরাদ্দ না দেয়ার বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুর আলম নয়া দিগন্তকে জানান, আমরা অনেক আগেই একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছিÑ যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করোনার এই সময়ে বন্ধ হয়ে গেছে সেখানকার শিক্ষার্থীরা পাশের যেকোনো স্কুলে ভর্তি হতে পারবে। আমাদের ওই বিজ্ঞপ্তিতে এটাও বলেছিলাম যে, করোনার পর যেকোনো শিক্ষার্থী দেশের যেকোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনা শর্তে বিনা টিসিতে ভর্তি হতে পারবে। তাই বন্ধ স্কুলের শিক্ষার্থীরা ওই স্কুল থেকে বই না পেলেও তারা পাশের স্কুলে যোগাযোগ করেই নতুন বই সংগ্রহ করতে পারবে। তবে শিক্ষার্থী অথবা অভিভাবকদের শুধু এতটুকু নিশ্চিত করতে হবে যে, ওই শিক্ষার্থী কোন ক্লাসে ভর্তি হতে চায়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877