শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নামে মামলা, তদন্তে পিবিআই

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নামে মামলা, তদন্তে পিবিআই

স্বদেশ ডেস্ক:

চিকিৎসায় অবহেলায় নাসরিন আক্তার নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেন এবং সেবিকা শংকরী রানী সরকার।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্বামী এস এ আলম সবুজ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামি ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস এ আলম সবুজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক অবস্থায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের ধারণা ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু তারা সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কারও কাছে সেবাটুকু পাননি। নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনাকালীন স্বামী সবুজ বারবার শংকরী রাণীকে ডাক্তার ডাকার জন্য বললেও তিনি তা কর্ণপাত করেননি। উল্টো সবুজকে শাসাতে থাকেন। বলতে থাকেন, রোগীর সুস্থ করার জন্য তিনিই যথেষ্ট।

রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সবুজ শংকরী রাণীকে ডাক্তার ডাকার জন্য ফের অনুরোধ করেন। তখন শংকরী রাণী ইন্টার্ন চিকিৎসক শুভ ও নুপুরকে ডেকে আনেন। তারা দুজন এসে জানান, সবকিছু ঠিক আছে। এরপর শংকরী রাণী ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে বলে জানান। কিন্তু কোনো ডাক্তার আসেনি। ভুক্তভোগী স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের অনুরোধ করলে তারা তা করেননি।

শংকরী রাণী স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই ভুক্তভোগীকে জোর করে বাচ্চা প্রসব করান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। প্রায় দুই-তিন ঘণ্টা পর ডা. শওকত আলী আরমান ও ডা. দেলোয়ার হোসেন আসেন। দেলোয়ার হোসেন ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের বলেন, ‘তার হায়াত নাই। আল্লাহ নিয়ে গেছে, আপনারা দ্রুত লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।’

রোগীর মৃত্যুর পেছনে তাদের কিছুটা অবহেলা আছে বলে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে বাদী পক্ষকে পাত্তা দেয় না। আসামিরা বলেন, ‘বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে না, পারলে মামলা করেন।’

এরপর গত ১৭ ডিসেম্বর বাদী ধানমন্ডি থানায় যান মামলা করতে। থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করা পরামর্শ দেয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877