বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন

বরিশালকে বিদায় করে ফাইনালে চোখ ঢাকার

বরিশালকে বিদায় করে ফাইনালে চোখ ঢাকার

স্বদেশ ডেস্খ:

লক্ষ্যমাত্রা নাগালেই ছিল। অধিনায়ক তামিম দায়িত্বটা নিতে পারেননি। একমাত্র আফিফ হোসেন ধ্রুব স্রোতের প্রতিকূলে করলেন ব্যাটিং। বাকিরা যেন এলেন-গেলেন। ফলে ছোঁয়া হলো না জয়ের লক্ষ্যমাত্রা। এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে বরিশাল।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সোমবার ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৯ রানে হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল মুশফিকের বেক্সিমকো ঢাকা। আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৫০ রান করে ঢাকা। জবাবে বরিশালের ইনিংস শেষ হয় ৯ উইকেটে ১৪১ রানে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মাঠে নামবে ঢাকা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম অথবা খুলনা।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে যেতে জয়ের বিকল্প ছিল না দুই দলেরই। ওই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল ঢাকা। জিততে হলে বরিশালকে করতে হতো ১৫১ রান। ওই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই হ-য-ব-র-ল বরিশাল। ২৭ রানের মধ্যে দলটি হারায় দুই উইকেট। বিদায় নেন ওপেনার সাইফ হোসেন (১২) ও পারভেজ ইমন (১১ বলে দুই রান)। আফিফকে নিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিন্তু ওই আশাতেও গুড়ে বালি।

মুক্তার আলীর বলে বিদায় নেন তামিম। ২৮ বলে করেন টেস্ট মেজাজে মাত্র ২২ রান। তারপরও মিডল অর্ডারে ভরসা ছিল। যেখানে ছিলেন মেহেদী হাসান, তৌহিদ হৃদয়ের মতো মারকুটে সব ব্যাটসম্যান। কিন্তু তারা এ দিন ব্যর্থ। স্রোতের বিপরীতে বলতে গেলে শুধু লড়াই করেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। বাকিরা ছিলেন ছন্দহীন। ৩৫ বলে ৫৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন আফিফ। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও চারটি ছক্কার মার।

তবে আফিফের বিদায়ের পর আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। তৌহিদ হৃদয় ১৬ বলে ১২ রান করে আল আমিনের বলে বোল্ড। সোহরাওয়ার্দি শুভ তো মারলেন গোল্ডেন ডাক। অঙ্কন ও মেহেদী হাসান দু’জনে সমান ১৫ রান করেন। এই দু’জনের বিদায়ের পর পরাজয় ত্বরান্বিত হয় বরিশালের। ১৪১ রানে থামে বরিশালের দৌড়।

বল হাতে ঢাকার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন শফিকুল ইসলাম ও মুক্তার আলী। আল আমিন দুটি ও রবিউল ইসলাম রবি একটি উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার শুরুটা ছিল আরো বাজে। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান বিদায় নেন দুই অঙ্কের রান স্পর্শ না করেই। একে একে বিদায় নেন মোহাম্মাদ নাঈম (৫), সাব্বির রহমান (৮) ও আল আমিন (০)।

ঢাকার হয়ে রান করেছেন মূলত তিন ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন মিডল অর্ডারে ইয়াসির আলী। ৪৩ বলের ইনিংসে তিনি হাকান তিনটি চার ও দুটি ছক্কা। ৩০ বলে ৪৩ রান করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছক্কার মার। ৯ বলে ২১ রানের ছোট্ট ক্যামিও ইনিংস খেলেন আকবর আলী। তিন চারের পাশাপাশি তিনি হাকিয়েছেন এক ছক্কা।

শেষের দিকে দ্রুত রান নেয়ার তাগিদে রান আউট হন রবিউল ইসলাম রবি (৫) ও নাসুম আহমেদ (১)। ৬ রানে অপরাজিত থাকেন মুক্তার আলী। বল হাতে বরিশালের হয়ে মেহেদী হাসান ও কামরুল ইসলাম রাব্বি দুটি করে উইকেট নেন। শুভ ও তাসকিন পান একটি করে উইকেটের দেখা।
ব্যাট হাতে দারুণ ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ঢাকার ইয়াসির আলী।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877