স্বদেশ ডেস্ক:
সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং একইসাথে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর মিছিলের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত যেন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ২৮০ জনে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬২৫ জনে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- করোনা থেকে বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩৮ হাজার ১০৯ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে এক কোটি ৪৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
ভারতে মোট আক্রান্ত ৯৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৭৩ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৬৬ লাখের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৭ জনের।
ভ্যাকসিন: এদিকে মহামারী এই করোনার প্রকোপ থেকে মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেকের তৈরি করোনার টিকা জরুরিভাবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ভ্যাকসিন ব্যবহারের এই অনুমোদন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও একধাপ অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিমাণের দিক দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কার করা কোভিড-১৯ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) কাছে আবেদন করেছে।
সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পোনাওয়ালা এক টুইটে বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ভারতে উৎপাদিত প্রথম টিকা কোভিশিল্ড’র জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। এটি অসংখ্য জীবন বাঁচাবে।’
ভারতের ১৫ জায়গায় ১ হাজার ৬০০ অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে বর্তমানে টিকাটির পরীক্ষা চলছে।
বিশ্বব্যাপী চালানো পরীক্ষার ফলে দেখা গেছে যে একজন ব্যক্তির মাঝে প্রথমে অর্ধেক ডোজ এবং পরে পূর্ণ এক ডোজ প্রয়োগ করা হলে এ টিকা সংক্রমণ প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর হয়ে থাকে।
ফাইজারের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর হলেও এর দাম অক্সফোর্ডের টিকার পাঁচগুণ বেশি হতে পারে এবং তা সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ টিকার দাম ৫০০ থেকে ৬০০ রুপি হবে বলে জানিয়েছেন আদর পোনাওয়ালা।