স্বদেশ রিপোর্ট ॥ গত ১ নভেম্বর রবিবার সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্দোগে পৈশাচিক-নারকীয় রক্তাত্ব তেষরা নভেম্বর জেল হত্যার ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে র্ভাচ্যুাল স্মরন সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের চার দিকপাল সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজজামানকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে সরকারী হেফাজতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। যাদের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না – বাংলাদেশ স্বাধীনতার কীর্তিমান পুরুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫-এর ১৫ ই আগষ্ট স্বপরিবারে হত্যার পর তেষরা নভেম্বর বাংলাদেশকে নেতৃত ¡শূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর ডানহাত চার সহকর্মীকে কারাপ্রকষটে নির্মমভাবে হত্যা করে। খুনিরা বঙ্গঁবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশোধ গ্রহন করেছিল। একই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিনাশ ও নেতৃত্ব শূন্য করতে জাতীয় নেতাদের হত্যা করেছিল। বাংলাদেশর সৃষ্টির পর এই দুই বিয়োগানতো ঘটনা পলাশীর নৃশংসতাকে হার মানায়। সেদিন খুনী মোস্তাক তার পক্ষে সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে রাতের আঁধারে ফারুখ-রশীদ চক্র কতৃর্ক মুক্তিযুদ্ধের দিশারী ৪ নেতাকে হত্যা করে। মুজিব ভক্তরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে শহীদ হন। তাদের অমর আত্মত্যাগের এবং বীরোচিত সাহসের কথা ফুটে উঠে আজকের বক্তাদের আলোচনায়। আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন: মাহবুব রহমান মিলন, মোয়াজেম ইকবাল, ফখরুল আহসান শেলী, জসিমউদ্দিন, আবেদ আমির, ইলিয়াস ঠাকুর, শামসুদ তোহা, মো. নুর, শামসুর রহমান সামু, করিমুজজামান, কনক রেজা, ইসতিয়াক বাবু, রুমেল হোসেন, কাজী শাহজাহান, মনিরুল ইসলাম মনির, জিয়াদ রানা, রুহুল আমিন, মেহেদী হাসান, মো. তারেক, শামীম সাহিদ, বাচচু, মো. সেলিম প্রমুখ। সন্ধ্যা ৮ টা থেকে রাত ১০:৩০টা পর্যন্ত স্মরনসভা চলে। অত:পর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত পরিচালনা করেন জসিমউদ্দিন। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য শান্তি, করোনা থেকে মুক্তির জন্যও দোয়া করা হয়।
সভার সিদ্ধান্ত হয়, আগামি ১৫ই নভেম্বর সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্টিত হবে। তৃনমূল থেকে ব্যাপক অংশগ্রহনে নতুন উদ্দীপনায় এ’কাউন্সিল আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচিত করবে। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট নিহত সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,জাতীয় চার নেতা,৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সহ আজ পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।