রবিবার, ২৬ মে ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন

জামিনের জন্য পেশকারের ৭ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ

জামিনের জন্য পেশকারের ৭ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ

স্বদেশ ডেস্ক:

প্রায় আড়াই হাজার ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মাদক আইনের একটি মামলায় জামিন করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সাত লাখ টাকা নিয়েছেন ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. জালাল হোসেন। গত ১৫ অক্টোবর হামিদা খানম নামে এক ভুক্তভোগী নারী ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে টাকা নেওয়ার এই অভিযোগ করেন।

এরপর এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ বরাবর একটি চিঠি প্রেরণ করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন আলী খান হাসান। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার, আইন সচিব এবং সংশ্লিষ্ট পঞ্চম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজকেও অনুলিপি দিয়েছেন সমিতি। সমিতির অফিস সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট এএইচএম মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী হামিদা বেগম অভিযোগ করেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রামপুরা থানার ৯(২)২০২০ নং মামলায় ২ হাজার ৩৭০ পিস ইয়াবা পাওয়ার অভিযোগে তার ছেলে বিপ্লব হোসেন গ্রেপ্তার হয়। ছেলের জামিনের জন্য তিনি আইনজীবী নিয়োগ দেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পেশকার জালাল হোসেন দ্রুত জামিনের আশ্বাস দিয়ে জামিনের জন্য সাত লাখ টাকা দাবি করেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি তাকে নগদ সাত লাখ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু তিনি বিপ্লবকে জামিন করাতে পারেননি।

একপর্যায়ে টাকা ফেরত চাইলে পেশকার জালাল হোসেন তিন লাখ টাকার একটি এবং দুই লাখ টাকার একটি চেক প্রদান। বাকি দুই লাখ টাকা নগদে ফেরত দেবেন বলে জানান। চেকের মাধ্যমে তিনি টাকা উত্তোলন করতে পারেননি এবং অবশিষ্ট ২ লাখ টাকা পেশকার জালাল নগদ প্রদান করেনি।

হামিদা বেগমের আইনজীবী মো. আক্তার হোসেন বলেন, জেলে থাকা সন্তানকে সব মা-বাবাই দ্রুত জামিন করাতে চায়। আর পেশকার জালাল সেই সুযোগটা নিয়েছেন। ২ হাজার ৩৭০ পিচ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় মাত্র তিন মাসের মধ্যে জামিন করানোর আশ্বাস দেন। এজন্য সাত লাখ টাকাও নেন। কিন্তু জামিন তো করাতেই পারেননি, উল্টো সাত লাখ টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877