স্বদেশ ডেস্ক:
৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুই মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেরানি আবজাল হোসেনকে ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়শ কারাগারে পাঠনোর এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর একই আদালত প্রত্যেক মামলায় দুদকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ রিমান্ড শেষেই তাকে আজ আদালতে আনে দুদক।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট আবজাল একই আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চাইলে আদালত জামিনের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওইদিনই দুদক রিমান্ড আবেদন করলে গত ২ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ঠিক করা হয়।
মামলা দুইটির মধ্যে একটিতে আবজাল হোসেন একা আসামি এবং অপর মামলায় তার স্ত্রী রুবিনা খানমের সঙ্গে যৌথভাবে আসামি। গত বছর ২৭ জুন দুদক উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কার্যালয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানিলন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন।
মামলা দুটিতে আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় দীর্ঘ সময় ধরে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ২৮৪ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২০৭ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের অভিযোগও করা হয়েছে।
মামলারগুলোর মধ্যে আবজালের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি দুদকে পেশ করা সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ২ লাখ ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।
আবজালের স্ত্রী রুবিনা খানম ও আবজালকে যৌথভাবে আসামি করে করা মামলায় ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদের কথা বলা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন।
মামলায় বলা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এজাহারে আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকার মানিলন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।