স্বদেশ ডেস্ক:
এমবিবিএস চিকিৎসক না হয়েও নিজেকে নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকের চেম্বারে রোগী দেখে আসছিলেন তানভীর হাসান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত তিনি ধরা পড়েছেন।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টায় বগুড়া শহরের সবুজবাগ এলাকায় কথিত ওই চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
জানা গেছে, ঢাকার বাসিন্দা তানভীর হাসান নিজেকে এমবিবিএস পাস করা নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দিয়ে শহরের সবুজবাগে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তিনি বগুড়ার বিভিন্ন ক্লিনিকের চেম্বারে বসে রোগী দেখে আসছিলেন। এ ছাড়া তিনি নিজেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অনারারী মেডিকেল অফিসার (এইচএমও) পরিচয় দিতেন। এই পরিচয়ে তিনি বগুড়া শহরে সবুজবাগ এলাকায় তাহসিনা ফার্মেসীতে ব্যক্তিগত চেম্বার খুলে বসেন।
গত আড়াই বছর ধরে তানভীর হাসান সেখানে রোগী দেখছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল রাত ৮টায় তাহসিনা ফার্মেসীতে অভিযান চালায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে এনএসআই এর কর্মকর্তা ও র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় তাহসিনা ফার্মেসীতে রোগী দেখছিলেন ভুয়া চিকিৎসক তানভীর হাসান। তাকে হাতে নাতে আটকের পর তিনি ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসক বলে স্বীকার করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে তিন মাসের সাজা প্রদান করেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ জাহান বলেন, ‘তানভীর হাসান আরেকজনের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে প্রায় তিন বছর ধরে রোগী দেখে আসছিলেন। নিজেকে নবজাতক, শিশুরোগসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিতেন তিনি। এ ছাড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের এইচএমও বলেও পরিচয় দিতেন তানভীর।’
মারুফ জাহান আরও বলেন, ‘এর আগে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় দীর্ঘদিন রোগী দেখেছেন ভুয়া এই ডাক্তার। সেখানে ধরা পড়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে মুচলেকা দিয়ে এলাকা ছাড়েন তিনি। তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তিনি দোষ স্বীকার করায় তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।’