স্বদেশ ডেস্ক:
আদালতের নির্দেশের পর কক্সবাজারের রামুর হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্ট থেকে উদ্ধার করা গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান ও তার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথের ব্যবহৃত ল্যাপটপসহ ২৯টি ডিভাইস ও টাকা হেফাজতে নিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়রন (র্যাব)।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় রামু থানা পুলিশের কাছ থেকে ডিভাইসগুলো নিজেদের হেফাজতে নেয় র্যাব। র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকারের নেতৃত্বে র্যাবের একটি টিম রাত ১২টার দিকে রামু থানায় গিয়ে এসব মালামাল গ্রহণ করেন। তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন বলে জানান বিমান চন্দ্র কর্মকার।
মেজর (অব.) সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে গ্রেপ্তার করার পরে ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ, টাকাসহ বিভিন্ন ডিভাইস নিয়ে যায় রামু থানা পুলিশ। র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রামু থানার হেফাজতে থাকা ল্যাপটপ হার্ডডিস্ক সহ ২৯টি ডিভাইস ও টাকা র্যাবের কাছে হস্তান্তরের জন্য ১৯ আগস্ট আদেশ দেন আদালত। কিন্তু এসব মালামাল পুলিশের হেফাজতে রাখতে আদালতে আবেদন করে রামু থানা পুলিশ। ২০ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হেলাল উদ্দিন পুলিশের এ আবেদনটি খারিজ করে দেন। রামু থানায় থাকা নীলিমা রিসোর্ট থেকে পুলিশের জব্দ করা ডিভাইসসহ সকল জিনিসপত্র র্যাবের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ বহাল রাখে আদালত।
এদিকে আজ শুক্রবার চতুর্থ দিনের মতো রিমান্ড চলছে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা অন্যতম আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্তকৃত ইনচার্জ লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের।
এ মামলায় র্যাবের হেফাজতে রিমান্ড শেষে পুলিশের বরখাস্তকৃত চার সদস্যসহ সাতজনকে আদালতের মাধ্যমে গতকাল বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিদের জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর এপিবিএন এর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।