বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামে ময়লার ভাগাড়ে ১৫ হাজারের বেশি পশুর চামড়া

চট্টগ্রামে ময়লার ভাগাড়ে ১৫ হাজারের বেশি পশুর চামড়া

স্বদেশ ডেস্ক:

চট্টগ্রামে বিক্রি না হওয়া ১৫ হাজারেরও বেশি কোরবানির পশুর চামড়া ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দিয়েছে সিটি করপোরেশন। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব চামড়া নগরীতে বিক্রি করতে এনে দাম না পেয়ে ফেলে চলে যান মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, বিক্রি করতে না পেরে অনেকে চামড়া মাটির নিচে পুঁতে ফেলেছেন। কেউই চামড়া বিক্রি করতে পারেননি সরকার নির্ধারিত দামে। সব মিলিয়ে এবারও চামড়া ব্যবসায় বিপর্যয় ঘটেছে।

তবে আড়তদারদের দাবি, এবার তেমন বেশি চামড়া নষ্ট হয়নি এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পর্যাপ্ত চামড়া সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।

কোরবানির পর শনিবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান চামড়া সংগ্রহ ও বিক্রয়ের আড়ৎ আতুরার ডিপো এলাকায় চামড়া বিক্রি করতে নিয়ে আসেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তারা ২০০-৩০০ টাকায় সংগ্রহ করা প্রতিটি চামড়া ৫০ টাকা দামেও বিক্রি করতে পারেননি। পরে এসব চামড়া রাস্তার পাশে ফেলে চলে যান তারা। এসব চামড়া থেকে এক পর্যায়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে সিটি করপোরেশন এগুলো ময়লার গাড়িতে করে ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যায়।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি মো: মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘এবার প্রায় চার লাখের মতো চামড়া এসেছে। অন্যান্যবার পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ চামড়া আসে। উপজেলা থেকে আসা কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় সেই সংখ্যা কম।’

কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ‘রোববার রাত পর্যন্ত আমরা ১৫ হাজারেরও বেশি চামড়া ডাম্পিং করেছি। পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব চামড়া এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।’

সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো: মোরশেদুল আলম বলেন, ‘উপজেলা থেকে আনা কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে। আড়তদারদের গাফিলতি ছিল। তারা দেরি করেছেন। দাম কম দিতে চেয়েছেন বলে এসব চামড়া অনেকে বিক্রি করতে পারেননি। এ ছাড়া নগরীর সুন্নিয়া আহম্মদিয়া মাদরাসা মাঠে প্রায় পাঁচ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে। এ চামড়াগুলো আড়তদারেরা কিনে নিয়েছিলেন। কিন্তু শ্রমিকের অভাবে সঠিক সময়ে লবণ দিতে পারেননি। এভাবে প্রায় ১৫ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে।’

চামড়া নষ্ট হওয়ার বিষয়ে আড়তদারদের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

প্রসঙ্গত, এক সময় বন্দর নগরীতে ২২টি ট্যানারি ছিল। এখন রয়েছে মাত্র একটি। পরিবেশ অধিদফতরের নিয়ম না মানার কারণে বাকি ট্যানারিগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সূত্র: ইউএনবি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877