স্বদেশ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ছাড়াও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির পথে রয়েছে জাপান। দেশটির জৈবপ্রযুক্তি উদ্যোগ অ্যানজিসের নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিনের ১০ লাখ ডোজ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। শুধু তাই নয়, দেশটির জনগণকে দ্রুত ভ্যাকসিন সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রকৃত পরিকল্পনার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর কথাও বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
জাপানের নিক্কেই এশিয়ান রিভিউয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ও বিশ্বের আরও কয়েকটি কোম্পানি করোনার কয়েক শ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এ ভ্যাকসিন জাপান আমদানি করতে পারবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই দেশটির সরকার করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবিলা করতে ভ্যাকসিন সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। জাপানের ভ্যাকসিনটি এখনো উন্নয়ন পর্যায়ে রয়েছে।
জাপান ও বাইরের ১৪টি সংস্থার একটি কনসোর্টিয়াম মিলে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। প্রথমে তারা কেবল দুই লাখ ডোজ উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে চিন্তা করছিল। অংশীদারেরা কাঁচামালের সরবরাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে ভ্যাকসিন উৎপাদন সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ তাদের তৈরি ভ্যাকসিনটির জন্য অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
ভ্যাকসিন উৎপাদনে উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ও দামি যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। তাই হুট করে কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ ধরনের কর্মসূচি চালানো সম্ভব হয় না। জাপানে চারটি কোম্পানির ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। ২০০৯ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়ালে জাপানকে ভ্যাকসিন আমদানি করতে হয়েছিল। এক বছর মেয়াদে তা ব্যবহার না হওয়ায় বেশির ভাগ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই জাপান সরকার এবার স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিন উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করছে। জাপান এজেন্সি ফর মেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ৯টি ভ্যাকসিন প্রকল্পকে এক হাজার কোটি ইয়েন সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে। গত সপ্তাহে দেশটিতে দুই হাজার কোটি ইয়েন সম্পূরক বাজেট পাস হয়েছে ভ্যাকসিন সহযোগিতায় দেওয়ার জন্য।
অ্যানজিস ছাড়াও সিনোগি ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ডাইচি সানকোয়ো আরেকটি ভ্যাকসিন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। আগস্ট মাসে মিতসুবিশি তানাবে ফার্মার পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে।