স্বদেশ ডেস্খ:
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ব্যান্ডেজ হাতে ছুটে গিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
রোববার দুপুরে তিনি বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান। তার এ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ তার প্রশংসা করেন।
রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শনিবার বেলা ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ নাসিম।
১ জুন শ্বাসকষ্ট নিয়ে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। ৫ জুন ভোররাতে তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা: রাজিউল হকের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করা হয়। অপারেশনের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা: কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে আরেকটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা: কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চলছিল তার।
এরই মধ্যে শনিবার বেলা ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ নাসিম। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। তার বাবা এম মনসুর আলীর ছেলে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন ছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম একাধারে বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্র ছিলেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন নাসিম। ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।