জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। ওই মাঠে স্থাপিত হয়েছে অস্থায়ী বাজার। রোববার ওই বাজারে উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল। গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে, গাদাগাদি অবস্থায় হাঁটাচলা করে, কেনাবেচায় ব্যস্ত ছিল শত শত মানুষ। করোনাভাইরাসের কোনো ভীতি তাদের মধ্যে ছিলনা বললেই চলে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতো যে কোনো বিষয় আছে, তা সেখানে গেলে বোঝার উপায় নেই। ফলে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি।
খবর পেয়ে দুপুর একটার দিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান ওই বাজারে গিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেন।
রোববার ওই অস্থায়ী বাজারে উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল। সামাজিক দূরত্ব না মেনে একটি গেট দিয়ে শত শত মানুষ ওই বাজারে প্রবেশ করেছে আবার একই গেট দিয়ে বের হয়েছে। মাঠে অনেক জায়গা থাকলেও একই স্থানে বসে চলেছে বেচাকেনা। গায়ে গা লেগে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেচাকেনা চলেছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকদের উৎপাদিত শাক-সবজি, পেঁয়াজ-মরিচসহ অন্যান্য পণ্য এসেছিল ওই বাজারে। ক্রেতারাও তুলনামূলক সহজলভ্য মূল্যে এসব পণ্য ক্রয়ের জন্য দল বেঁধে এসেছিল। সবাই রমজানের আগাম বাজার সেরে নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল ওই বাজারে। অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক।
অন্যদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাঠারবিল, মিতালী, বাঁশতুলি বাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলোতেও উপচেপড়া ভিড় রয়েছে।
এ ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এত কিছু করার পরেও জনগণকে কোনভাবেই ঘরে রাখতে পারছি না। তারা অনেকটা অসচেতনভাবে বাজারগুলোতে জটলা করছেন। আমি এখন এই বাজারেই আছি। ইউএনও স্যার আমার সাথেই আছেন। আমরা আমাদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসে তিনজন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে ময়মনসিংহে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং অপর দুইজনকে জামালপুর সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।