দিনাজপুরের বিরামপুরে জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। বুধবার রাতে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মেহেদী হাসানকে এ তথ্য জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী বৃহস্পতিবার সকালে জানান, আইইডিসিআর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, গত সোমবার বিরামপুরের জোতবানী ইউনিয়নের তপসি গ্রামে জ্বর,সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া ফরহাদ হোসেনের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব পরীক্ষায় মেলেনি।
মৃত ব্যক্তি যেহেতু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না, তাই পরিবারের সদস্যদের আর কোয়ারেন্টাইনে রাখা কিংবা প্রতিবেশীদের লকডাউনে রাখার প্রয়োজন নেই।
জোতবানী ইউনিয়ন তপসি গ্রামের ফরহাদ হোসেন কুমিল্লায় কৃষি শ্রমিকের কাজ করতেন। তিনি কুমিল্লায় যে বাড়িতে কাজ করতেন সেই বাড়ির মালিক সৌদি প্রবাসী।
সম্প্রতি বাড়ির মালিক সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। এরপর কুমিল্লার প্রশাসন সৌদি প্রবাসীর ওই বাড়ির সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন।
এ সময় গত ১০/১২ দিন আগে ফরহাদ হোসেন জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লা থেকে পালিয়ে নিজ বাড়িতে আসেন।
এছাড়া ফরহাদ হোসেন জন্ডিসেও আক্রান্ত হন। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না গিয়ে তিনি স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে থাকেন।
গত সোমবার ভোরে ফরহাদ হোসেন মারা যান। ওইদিন দুপুরে ফরহাদ হোসেনের জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. সোলায়মান হোসেন মেহেদী জানান, মৃত ফরহাদ হোসেনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিল।
এছাড়া তার চিকিৎসক ডা. জাকেরুল ইসলামকে নিজ বাড়িতে এবং লাশের গোসল করানো চার ব্যক্তিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিলো। ফরহাদ হোসেনের পরিবারসহ তপসি গ্রামের ৮৪ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছিলো।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. সোলায়মান হোসেন জানান, আইইডিসিআরের দেয়া প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত ব্যক্তির পরিবারের আর কোয়ারেন্টাইন দরকার নেই। পাশাপাশি তপসি গ্রামের লকডাউন প্রয়োজন নেই। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হবে।