করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে একমাত্র উপায় হচ্ছে অন্যের সংস্পর্শে না যাওয়া এবং বিচ্ছিন্ন থাকা। কিন্তু কারাগারে বন্দীরা এক জায়গায় গাদাগাদি করে থাকে বলে এই নির্দেশ সেখানে পালন করা অসম্ভব। তাই এবার কারাগারে করোনা ঝুঁকি কমাতে ভিড় কমানোর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ভারত।
চলতি সপ্তাহেই দেশটির বিভিন্ন কারাগারে থাকা বন্দীদের মুক্তি দিতে নির্দেশনা জারি করেছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। সেই নির্দেশনা মেনে তিন হাজারের বেশি বন্দীকে সাময়িক মুক্তি দিতে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ।
ভারতের সুপ্রিমকোর্ট ও কারা সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ভারতের সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ বোবদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জামিনে ও প্যারোলে কিছু বন্দীকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
আর সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার কলকাতার কারা কর্তৃপক্ষের কাছে ১০১৭ জন দণ্ডিত ও ২০৫৯ জন বিচারাধীন বন্দীকে যথাক্রমে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট।
জানা গেছে, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে তিন মাসের জন্য মুক্তি পেতে পারেন এসব বন্দী। তবে মুক্তির তালিকায় স্থান পাবে না নারী ও শিশু যৌন হেনস্তা, রাষ্ট্রবিরোধী দাঙ্গা, জালনোট, শিশু অপহরণ, দুর্নীতি, মাদক পাচারের অভিযোগে দণ্ডিতরা। এ তালিকায় থাকবেন না অভারতীয় বন্দীরাও।
এ বিষয়ে ভারতের সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, বিচারাধীন বন্দীদের অন্তর্বর্তী জামিনের ক্ষেত্রে একাধিক শর্ত থাকবে। সাত বছর বা তার থেকে কম সময়ের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী এবং ওই একই সাজা হতে পারে এমন মামলায় বিচারাধীন বন্দীদের মুক্তির সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
দমদম সেন্ট্রাল জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্যারোল ও অন্তর্বর্তী জামিনের ক্ষেত্রে জেল কর্তৃপক্ষকে ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথোরিটি (ডালসা) সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০২৪ জন। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। করোনাভাইরাস ঠেকাতে পুরো ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। আজ সোমবার দেশটির ৬টি রাজ্যে একজন করে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।