স্বদেশ ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সরকার আজকে সবদিকেই অত্যাচারী হয়ে উঠেছে। জনগণের উন্নয়নের সরকার তারা নয়। আওয়ামী লীগ উন্নয়নের নামে, মেগা প্রজেক্টের নামে পকেট ভারী করছে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ দাবি করেন। দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য পাপিয়া নাটক করেন, ক্যাসিনো নাটক করেন। একটির পর একটি ইস্যু তৈরি করে বিএনপির আন্দোলনকে কোণঠাসা করেন। আপনারা বিএনপির আন্দোলনকে আন্ডারএস্টিমেট করবেন না। বিএনপি অতীতেও মরে নাই। বিএনপি তৈরি হয়েছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে। সেই দলকে পুলিশি গভর্মেন্ট দিয়ে ঠেকিয়ে রেখেছেন। এই ঠেকিয়ে রাখা স্বৈরাচার এরশাদও করতে পারিনি। আইয়ুব খানও পারেনি, মোনায়েম খান পারেন নাই, মঈন খান-ফকরুদ্দিন পারেননি। তারাও জনগণের উপর খবরদারি করতে পারেননি।
তিনি বলেন, এই সরকারের কাছে কোনদিনও আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার জামিন হবে সেটা বিশ্বাস করা যায় না। যখনই আন্দোলনের ডাক দেব, যখনই কর্মসূচি ঘোষণা দিব, তখনই বলে অনুমতির প্রয়োজন। সেই অনুমতি কোনোদিনও মেলে না। আমরা রাজপথে নামতে পারি না। যদি কখনো কৌশলগতভাবে রাজপথে নামি তখন আমাদের উপর হামলা করা হয়। আপনারা অনুমতি দিবেন না, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিবেন না। আমরা মনে করি আন্দোলন ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আর কোনো পথ নেই।
ফারুক বলেন, লগি-বৈঠা দিয়ে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা কৌশল করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কুক্ষিগত করছে। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। আমি অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিন ও তেল-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য যে পরিকল্পনা করেছেন তা বাতিল করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের আর কতটি মামলা দিবেন? কতদিন ঠেকিয়ে রাখবেন। সপ্তাহের সাত দিনই তো আমরা কোর্টের বারান্দায় আছি। আবারো না হয় মায়ের মুক্তির জন্য, পানি ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে লাখো মামলা মাথায় নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বো।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কামরুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ইউনুস মৃধা, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহবায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ বক্তব্য দেন।