রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন

বাজেটের চেয়ে বেশি টাকা পাচার হয়েছে : মওদুদ

বাজেটের চেয়ে বেশি টাকা পাচার হয়েছে : মওদুদ

২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।  গত ১০ বছরে দেশ থেকে এর থেকে বেশি অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে ৫ কোটি ৮৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। যে হারে টাকা পাচার হচ্ছে, এ পাচার কারা করছে? এ সরকারের মদদ নিয়ে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে টাকা করেছে, সেটা দেশে বিনিয়োগ না করে বিদেশে পাচার করেছে।  এই বাজেট লুটপাট সহায়তাকারীদের বাজেট।’

প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সুবিধাভোগীদের জন্য এ বাজেট।  এ বাজেট জনসাধারণের জন্য নয়।’

খালেজা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, ‘হাইকোর্টে এখন খালেদা জিয়ার দুটি মামলা আছে। একটি হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা এবং আরেকটি হলো জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। এই সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টের ডিভিশনে এ দুটি মামলায় জামিন চাওয়া হবে। আমরা আশা করি, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার জামিন হবে। যদি জামিন না হয় তাহলে অবশ্যই আমরা আপিল বিভাগে যাব। কিন্তু আমরা জানি, সরকারের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আজকে প্রায় এক বছর চার মাস যাবৎ বেগম জিয়া কারাগারে আছেন।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। কিন্তু তার সত্যিকারের মুক্তি আসবে আন্দোলনের মাধ্যমে।  রাজপথেই খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত হতে পারে। এজন্য আমাদের সংগঠিত হতে হবে এবং কর্মসূচি দিতে হবে। আমাদেরকে এমন কর্মসূচি দিতে হবে, যাতে সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।’

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষ উৎকণ্ঠিত। তারা সকলেই চায়, তিনি যাতে আর কারাগারে না থাকেন। এটা দেশের ১৬ কোটি মানুষের ইচ্ছা। কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, সরকারের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আমরা শত চেষ্টা করেও জামিনের সুরাহা করতে পারছি না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুদিন আসছে। এই সুদিন এখন সময়ের ব্যাপার। এই সুদিন সেই দিন আসবে, যে দিন গণতন্ত্র আসবে, খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন, আইনের শাসন এবং বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে।  সেই দিনের অপেক্ষায় আপনাদের থাকতে হবে।’

আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877