স্বদেশ ডেস্ক:
বরগুনা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) এবং বরগুনা সড়ক ও জনপথের (সওজ) বিভাগের ঠেলাঠেলিতে সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে রাস্তা নির্মাণ কাজ। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
বরগুনা জেলার আওতাধীন পটুয়াখালী-আমতলী-বরগুনা-কাকচিড়া (আর-৮৮০) সড়ক ও প্রসস্থকরন কাজের মধ্য (ওজোপাডিকো) বরগুনার আওতাধীন সোনাখালী থেকে টাউনহল বাসস্ট্যান্ড এবং ক্রোক ব্রীজ হতে পলিটেকনিক পর্যন্ত সড়ক সংলগ্ন বৈদ্যুতিক পোল স্থানান্তরের জমা ভিত্তিক কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী এক কোটি ৬ লাখ ১০ হাজার ৭১১ টাকা বরাদ্দ নির্ধারণ করেছে বরগুনা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) বিভাগ।
খুঁটি অপসারণের জন্য নির্ধারণের বেশী বরাদ্দ হওয়ায় বরাদ্দকৃত অর্থ দিতে পারছে না বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। একারণে রাস্তার মাঝে খুঁটি রেখেই চলছে রাস্তা নির্মাণ কাজ।
ওই সড়কের মধ্যে রয়েছে ৪৯ থেকে ৫৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি। এ খুঁটিগুলো অপসারণ না করেই কাজ করায় স্ব-স্থানেই বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ড ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি অথবা কোনো মুমূর্ষু রোগীর জন্য জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স সড়কটি দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো তখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে বলে শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাছাড়া বাস-ট্রাক ও অটোরিকশা চলাচলে প্রধান বাধা হচ্ছে এ খুঁটিগুলো।
স্থানীয় বাসিন্দা ছগির হাওলাদার জানান, রাস্তায় খুঁটি থাকার ফলে আমরা সবসময় চিন্তিত থাকি। রাস্তার কাছেই বাড়ি থাকায় সচরাচর র্দুঘটনা চোখে দেখি। সরকারের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী।
বরগুনা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার লিটন জানান, অসুস্থ রোগী আনতে আমরা বড়ইতলা সড়কে যাই না। কারণ, বৈদ্যুতিক খুঁটির আঘাতে গাড়ির সমস্যা হয়। তাছাড়া রোগীদের সমস্যা হয়। সরকারের এ ব্যাপারে কাজ শুরু করা জরুরী।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালীদুল ইসলাম খান বলেন, রাস্তার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কিন্তু সেখানে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে আমাদের বরাদ্দ আটকে রয়েছে। তাই যথাসময়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বরগুনা সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, রাস্তার মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের জন্য (ওজোপাডিকো) আমাদের কাছে যে বরাদ্দ চেয়েছে তা প্রয়োজনের চেয়ে বেশী বলে মনে হচ্ছে। তাই অতিরিক্ত বরাদ্দ পেতে আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। বরাদ্দ এলেই খুঁটি অপসারণের জন্য কাজ শুরু করা হবে।