স্বদেশ ডেস্ক:
পাষান্ড স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন শিউলী আক্তার মিতু নামের এক গৃহবধু (২৫)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাউরিয়া গ্রামে।স্থানীয় লোকজন মিতুকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আমখোলা ইউনিয়নের দক্ষিন বাউরিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন ছেলে ফারুক হোসেন (৩০)একই গ্রামের শাহজাহান কবির মাস্টারের মেয়ে শিউলী আক্তার মিতুর (২৫) সাথে ২০১১ সালের ২৮ মে বিয়ে হয়। ওই সময় যৌতুক হিসেবে হাতের রুলি, কানের ও গলার মিলে তিন বড়ি স্বর্নের জিনিস উপঢৌকন দেয়। প্রায় ২ বছর পূর্বে সংসারে কোল জুড়ে আসে একটি ফুট ফুটে মেয়ে । তার নাম রাখা হয় জান্নাতুল ফেরদৌস। তখন নানা শাহজাহান কবির মাস্টারের নাতিকে দেখে তিনটি গরু উপহার দেয়। মিতুর স্বামী বেকার থাকায় বাবার বাড়ী থেকে প্রায় টাকা সহ বিভিন্ন ধরনের উপঢৌকন আনতে হচ্ছে। গত বুধবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিতুকে মুখের ভেতর গামছা দিয়ে ও ঘরের দরজা আটকিয়ে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে যা শরীরে যন্ত্রনা দায়ক হচ্ছে ব্েল এ প্রতিবেদককে জানানোর সময় মিতু কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এ ব্যাপারে মিতুর বাবা শাহজাহান কবির মাস্টার জানান, আমি মেয়ের ব্যাপারে আদালতে মামলা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ ব্যাপারে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা: আনোয়ার উল্ল্যাহ জানান, শরীরের আঘাতের চিহ্ণ পাওয়ায় গেছে। মিতু হাসপাতালে ভর্তি আছে।
গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ মো: মোর্শ্বেদ আক্তার জানান, অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।