স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি:
“উন্নয়নের স্রোত ধারায় ভাসছে সোহাগদল ইউনিয়নের অলিগলি ” কল্পনা থেকে বাস্তবে কিছু কিছু কাজ এলাকার সাধারন জনতার মন কেড়ে নিতে শতভাগ সক্ষম হয়েছে। এলাকার ড্রেন ব্যাবস্থা সহ রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন চোখে পড়ার মত। সমালোচনা কারীরাও একবাক্যে স্বীকার করবেন কাজের পরিধির কথা। তবে মান নিয়ে প্রশ্ন থাকাটা এই দেশে মজ্জাগত রোগ হলেও ভালো করার দিক সুনজর ছিলো সর্বদা। বিগত সময় থেকে চলতি মাস পর্যন্ত কাজের ক্ষেত্রে একটা ছোট খাটো রেকর্ড করেছে সোহাগদলের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। হ্যা বলছিলাম স্বরূপকাঠী উপজেলার অন্যতম ইউনিয়ন সোহাগদলের বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ রশিদের কথা। সদা হাস্য উজ্জল ও ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ হিসাবে ইউনিয়নের বেশীর ভাগ লোকজনের কাছে গ্রহন যোগ্যতা প্রচন্ড।
এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন জনগন একবাক্যে জেলার জাতীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন,উপজেলার মধ্যে অন্যতম সেরা ইউনিয়ন। সার্বিক বিবেচনায় কাজের উন্নতির দিক দিয়ে বেশ এগিয়ে। সর্বশেষ এলাকার গন মানুষের প্রাণের দাবী ছিলো গাডীর স্ট্যান্ড। উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা সহ উপজেলার চেয়ারম্যানে আন্তরিকতায় অবশেষে সেই আশার আলো দেখতে পাচ্ছে ইউনিয়নবাসীরা। বহু সাধনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হতে যাচ্ছে কৌরিখাড়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন ও ফেরী ঘাটের পাশে স্থাপিত হচ্ছে স্বপ্নের গাড়ী স্ট্যান্ড। বর্তমান চেয়ারম্যানের সুদুর প্রসারী চিন্তা ভাবনায় ছিলো কাজের ও উন্নয়নের নেশা। আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবে প্রাথমিক ভাবে মাটি ভরাটের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সরকারী সম্পত্তি সম্পতিতে শুরু হয় বালু ভরাটের কাজ। শান্তি পূর্ণ পরিবেশে মাটি ভরাটের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
এদিকে গন বসতি এলাকার জন্য সোহাগদলে একটা গাড়ী স্ট্যান্ড অতীব জরুরী দরকার ছিলো। বহুদিন ধরে সরকারী স্বরূপকাঠী কলেজ সংলগ্ন রাস্তার উত্তর সাইডে বে-আইনি ভাবে গড়ে ওঠে বাইক, ইজি বাইকের স্ট্যান্ড। বিগত সময় থেকেই চরম অনিয়মের মধ্যে চলে আসছিল গাডী পার্কিংয়ের কাজ কর্ম। কাউখালী,পিরোজপুর, নাজিরপুর, ইন্দুকানি ও খুলনার যাত্রীরা সহ স্থানীয় যাত্রীরা এক ধরনের ভোগান্তির মধ্যে আছে। পাশাপাশি সরু রাস্তার কারনে ভোগান্তিটা বেশীই ছিলো। ভাগ্যিশ এলাকার চেয়ারম্যানের সুনজরে আশায় সেই ভোগান্তির অবশান হচ্ছে। অবশ্য বিজ্ঞ ও সচেতন মহল মিডিয়াকে বলেন, দল মত নির্বিশেষে চলতি সময়ের দৃষ্টিকোন দিয়ে চেয়ারম্যান আঃ রশিদ বেশ এগিয়ে। বিগত সকল উন্নয়নকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলছে আপন মহিমায়। সর্বশেষ গাড়ী স্ট্যান তার জলন্ত প্রমান। এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান আলফাজ বলেন, কতাটা শতভাগ সত্য, বর্তমান চেয়ারম্যান উন্নয়নের পথে রয়েছে। দোষ গুন নিয়েই আমাদের পরিষদের কাজকর্ম। মদ্য কথা চেয়ারম্যান আঃ রশিদ কাজে ও কর্মে এই সময়ে সেরা অবস্থানে রয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় সোহাগদলের বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ রশিদের সাথে। মিডিয়ার প্রথম প্রশ্নের পাশাপাশি সকল প্রশ্নের জবাব দেন অতি সতর্কতার সাথে । প্রথমেই মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ দেন। এরপর এলাকার সকল জনগনকে সাধুবাদ জ্ঞাপন করেন। অন্য সব প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি এলাকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। আমি এলাকার জনগনের খাদেম। আমি সর্বদা শয়নে স্বপনে উন্নয়নের কথা ভাবি। আমার এলাকায় কিছু কিছু এলাকায় তেমন উন্নতি হয়নি। তবে চলতি বাজেটে শতভাগ উন্নয়ন হবে আল্লাহর রহমাতে। আমার এলাকার সকল জনপ্রতিনিধিরাও উন্নয়নের কথা বলে। আমি আমার ইউনিয়নটাকে রোল মডেল হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। এটাই আমার প্রধান স্বপ্ন।