স্বদেশ ডেস্ক: তাঁদের সম্পর্ক সাপে-নেউলে। পরস্পরকে এড়িয়ে চলতেই ভালবাসেন তাঁরা। টিম স্বদেশ ডেস্ক: ইন্ডিয়ার কোচ বাছাই নিয়ে প্রকাশ্যে সংঘাতেও জড়িয়েছিলেন দু’জন। একজন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং অন্যজন রবি শাস্ত্রী। তাঁদের মধ্যে তিক্ততা এখন আর ক্রিকেটপ্রেমীদের অজানা নয়। কিন্তু আমচকাই ছবিটা বদলে গিয়েছে। বলা ভাল বদলে যেতে বাধ্য হয়েছে। হওয়াটাও স্বাভাবিক। হাজার হোক ক্ষমতার আসিনে থাকা সৌরভকে নিয়ে এখন তো আর বেফাঁস মন্তব্য করা যাবে না। তাই দাদার জন্য শাস্ত্রীর মুখে মিষ্টি বুলি ফুটেছে। যা দেখে মুচকি হাসছেন সৌরভের অনুরাগীরা।
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর গোটা দেশের বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা পেয়েছেন সৌরভ। বীরেন্দ্র শেহওয়াগ থেকে হরভজন সিং- প্রত্যেকেই বলেছেন, সঠিক ব্যক্তির হাতেই ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটন তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সকলের নজর ছিল টিম ইন্ডিয়ার কোচ শাস্ত্রীর দিকে। তাঁর সঙ্গে কবে সাক্ষাৎ হবে সৌরভের? মহারাজের বোর্ড সভাপতি হওয়া নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেন শাস্ত্রী? ইডেনে পিংক বলের টেস্টের সৌজন্য মিলল সেই উত্তর। মুখোমুখি হলেন তারকা। কিন্তু না, অতীতের মতো এবার আর বাক্যবাণে খোঁচা দেওয়ার প্রবৃত্তি দেখা গেল না শাস্ত্রীর মধ্যে। বরং প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের প্রশংসাই শোনা গেল তাঁর গলায়।
শাস্ত্রী বলেন, “আমার মনে দারুণ একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ও (সৌরভ) প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই যারা অভিনন্দন জানিয়েছিল, তাদের মধ্যে আমিও একজন। আর সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি, কারণ বিসিসিআই আবার আগের মতো স্বমহিমায় ফিরল। ভারতীয় ক্রিকেটের এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এক ক্রিকেটার দায়িত্ব পাওয়ায় খুব ভাল লাগছে।” ‘তোষামদ’ এখানেই শেষ হয়নি। শাস্ত্রী আরও বলেন, “একজন ভাল ক্রিকেটার, তারপর দুর্দান্ত অধিনায়ক। আর এখন প্রশাসনিক ক্ষমতায় সৌরভ। এমন একজনের প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠাটা আলাদা মাত্রা যোগ করল।”
বিসিসিআইয়ের মসনদে বসেই সৌরভ জানিয়ে দিয়েছিলেন, বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে দল। তাই টিমে বদল আনার কোনও প্রয়োজন নেই। কোহলি-শাস্ত্রী জুটির সাফল্যের প্রশংসাও করেছিলেন দাদা। আর পিংক টেস্টের পর ক্যাপ্টেন কোহলি থেকে কোচ শাস্ত্রী, প্রত্যেকের মুখে দাদার জয়জয়কার। উলটপুরাণই বটে!