কিছুদিন আগে নতুন করে বিবিধ শুল্ক–করের যে ফর্দ জারি হলো, তাতে ১৫০ টাকার নিচের দামের চপ্পলের ওপরও উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসেছে। বলা বাহুল্য, এই কর চপ্পল কোম্পানির মালিকেরা দেবেন না, দেশের উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তরাও খুব বেশি নয়। মূলত সুজন মিয়াদের শ্রেণি অতি কম দামি হাওয়াই চপ্পলের ভোক্তা।
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সুজন মিয়াদের মতো এক শর বেশি শ্রমজীবী জীবন দিয়েছিলেন। নতুন করের কোপ যে তাঁদের ওপরও পড়ল, তাতে চলতি সরকারের রাজস্বনীতির অগ্রাধিকার খানিকটা বোঝা গেল।
ছয় মাসের রাজনৈতিক অডিট দরকার
যে দেশের রাজধানীতে ২০ কোটি টাকা দামের ৭ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটও তৈরির আগে বিক্রি হয়ে যায়, যেখানে জনসংখ্যার ওপরের দিকের ১০ শতাংশের হাতে জাতীয় আয়ের ৪১ শতাংশ থাকে এবং নিচের দিকের ১০ শতাংশের হাতে থাকে ওই আয়ের মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ, সেখানে করারোপের অগ্রাধিকার দিয়ে অবশ্যই সে দেশের সরকারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও ভালোবাসার ধরন বোঝা যায়। ১৫০ টাকা দামের হাওয়াই চপ্পলের ওপর ভ্যাট আরোপ অর্থনীতির বিচারে ছোট ঘটনা হলেও রাজনৈতিক দর্শনের দিক থেকে সমকালীন সরকারকে বোঝার বেশ বড় উপাদান।