পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এক সপ্তাহ ধরে রেকর্ড হচ্ছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। হেমন্তের শেষ লগ্নে কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তর জনপদের আপামর মানুষ। ভোরে ঘন কুয়াশা না থাকলেও অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। তবে মেঘমুক্ত আকাশে কুয়াশা না থাকায় ও ঝলমলে রোদ থাকায় স্বস্তি রয়েছে কর্মজীবী মানুষের মধ্যে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, আজ সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ৮৮ শতাংশ। এর আগে গতকাল (১ ডিসেম্বর) রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এবার হেমন্তের শুরুতেই শুরু হয়েছে শীতের আবহ। সন্ধ্যা নামলেই উত্তরের জেলার মানুষদের পরতে হচ্ছে শীতের কাপড়। রাত বাড়তে থাকলে বাড়ে শীতের মাত্রা। ঘুমাতে হচ্ছে লেপ ও কম্বল মুড়িয়ে। রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। দিনে ঝলমলে রোদ থাকায় দিনে গরম অনুভূত হলেও বিকেল হতেই শুরু হয় শীতের অনুভূতি। সকাল ঝলমলে রোদ থাকায় কর্মজীবীরা স্বস্তিতে কর্মস্থলে যেতে পারেন। তবে দিনের বেলা রোদের কারণে দিন ও রাতের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে বেশ পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তর দিক থেকে আসা হিমেল বাতাসে ঠাণ্ডা বাড়তে থাকে। শরীরে শীতের পোশাক পড়তে হচ্ছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত খুবই ঠাণ্ডা। এখনই লেপ নিতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে সামনে তাপমাত্রা জিরোতে নেমে আসে কি না। তবে দিনের বেলায় গরম। সকাল ১০টার পর ঠাণ্ডা উধাও হয়ে যায়। দুই রকম আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরে ঘরে সর্দিকাশির প্রকোপ বেড়েছে।
এদিকে শীতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁপানিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে। সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগের দিন গতকাল রবিবার ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানান আবহাওয়া অফিসের এই কর্মকর্তা।