স্বদেশ ডেস্ক:
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইল ‘আন্তরিক’ প্রস্তাব দিচ্ছে না বলেই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হচ্ছে না বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। তারা জানিয়েছে, তারা ‘আশু’ যুদ্ধবিরতি চাইলেও ইসরাইলের কারণে তা হচ্ছে না।
হামাস নেতা ড. বাসেম নাইম স্কাই নিউজ শোয়ে বলেন, যুদ্ধরত দু’পক্ষ শেষ ‘সুনির্দিষ্ট, মধ্যস্ততাপূর্ণ চুক্তি’ উপস্থাপন করেছিল ২ জুলাই।
তিনি বলেন, ‘এটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল। আমিমনে করি, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি চলে গিয়েীছলাম। এটি যুদ্ধ বন্ধ করতে পারত। এতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সামগ্রিক প্রত্যাহার এবং বন্দী বিনিময়ের ব্যবস্থা ছিল।’
তিনি জানান, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিন্ন কিছু বাছাই করেছেন।
নাইম যুদ্ধ বন্ধ করতে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করার জন্য আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য হামাস অনুতপ্ত নয়। গাজা থেকে পরিচালিত ওই হামলায় ১২ শ’ লোক নিহত হয়। এরপর থেকে ইসরাইলি হামলায় ৪৩ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে গাজায়। এছাড়া কয়েক লাখ লোক আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, গাজায় ‘বড় ধরনের হত্যাযজ্ঞ’ পরিচালনার জন্য ইসরাইল অপরাধী। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলাটি ছিল ‘আত্মরক্ষামূলক।’ তিনি বলেন, ওই ঘটনার জন্য হামাসকে দায়ী করার অর্থ হলো ‘আগ্রাসীদের অপরাধের জন্য আগ্রাসনের শিকারদের দায়ী করার মতো।’
তিনি বলেন, ‘আমি হামাসের সদস্য। তবে একইসাথে আমি একজন নিরীহ ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোক। আমার অধিকার আছে স্বাধীনভাবে বাঁচার, স্বাভাবিক জীবনযাপন করার, আত্মরক্ষা করার, আমার পরিবারকে রক্ষা করার।’
তিনি ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য অনুশোচনায় ভোগেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘আপনি কি মনে করেন, কোনো বন্দী যদি দরজা ভেঙে বের হতে চেষ্টা করলে সেজন্য সে অনুতপ্ত হবে? এটা হলো আমাদের মর্যাদার অংশবিশেষ… আমাদের আত্মরক্ষার বিষয়, আমাদের শিশুদের রক্ষার প্রশ্ন।’
সূত্র : আরব নিউজ