স্বদেশ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শুভেচ্ছাবার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। দ্বিতীয় মেয়াদে আপনাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা আপনার নেতৃত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি যে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, তা প্রতিফলিত করে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র সমৃদ্ধি অর্জন করবে এবং বিশ্বজুড়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের সহযোগিতা রয়েছে। আপনার পূর্বের মেয়াদকালে এই সম্পর্ক গভীরতা ও ব্যাপ্তিতে আরো প্রসারিত হয়েছে। আমাদের অংশীদারত্ব আরো শক্তিশালী করতে এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে একসাথে কাজ করার জন্য আমি অত্যন্ত আগ্রহী। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের দুই বন্ধুসুলভ জাতির জন্য নতুন অংশীদারত্বের সুযোগ খুঁজে পাওয়ার সাথে সাথে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে।’
এদিকে জয়ের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই বিশ্বনেতারা ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ নেতাদের অনেককে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
ইতোমধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টার্মার, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, হাঙ্গেরির নেতা ভিক্টর অরবান, অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার, সাবেক রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘সম্মান এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার সাথে আরো শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আমরা আগামী চার বছর একসাথে কাজ করতে প্রস্তুত…।’
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ প্রত্যাবর্তনের জন্য অভিনন্দন! হোয়াইট হাউজে আপনার ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন আমেরিকার জন্য একটি নতুন সূচনা। তিনি ইসরাইল ও আমেরিকার মধ্যকার সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টার্মার বলেছেন, তিনি ট্রাম্পের সাথে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে আছেন। তিনি ট্রাম্পের এই জয়কে ঐতিহাসিক রাজনৈতিক জয় বলেও উল্লেখ করেছেন।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার বলেছেন, ‘ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্ককে আরো সম্প্রসারিত এবং শক্তিশালী করার জন্য বিশ্বব্যাপী সকল চ্যালেঞ্জ একসাথে সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমরা উন্মুখ।’
রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ট্রাম্পের এই বিজয় ইউক্রেনের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। যদিও ট্রাম্প এই যুদ্ধের জন্য মার্কিন আর্থিক সহায়তা কতটা কমাতে পারবেন, ওই বিষয়ে তিনি নিশ্চত নন।
হাঙ্গেরির উগ্র ডানপন্থী নেতা ভিক্টর অরবান বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ের পথে রয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘শুভ সকাল হাঙ্গেরি! একটি দুর্দান্ত জয়ের পথে।’
ট্রাম্পকে বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি এক্সবার্তায় বলেন, ‘ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য আমার বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্তরিক অভিনন্দন। আপনার পূর্ববর্তী মেয়াদের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে আমি ভারত-মার্কিন ব্যাপক বৈশ্বিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরো শক্তিশালী করার জন্য আমাদের সহযোগিতা পুনরায় এগিয়ে নেয়ার জন্য উন্মুখ। আসুন একসাথে, আমাদের জনগণের উন্নতির জন্য এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য কাজ করি।’