স্বদেশ ডেস্ক:
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দিন-রাত আন্দোলনের পর আজ বুধবারও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের সামনে।
সকাল থেকে ছাত্র-জনতার উপস্থিতি দেখা না গেলেও কড়াকড়ি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি। সেনাবাহিনী ও বিজিবির পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন র্যাব ও এপিবিএন সদস্যরাও।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় বসানো হয়েছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। চার স্তরের বেষ্টনীর পাশাপাশি রাখা হয়েছে তিন স্তরের কাঁটাতারের বেড়াও।
সকাল থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের তেমন কোন জমায়েত দেখা যায়নি। তবে বিক্ষিপ্তভাবে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
এদিকে সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর বিকেলে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সূত্র জানায়, আধা ঘণ্টার বেশি সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয় এবং রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে কে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান বিচারপতি আইজিপি, র্যাব ডিজি ও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
এদিকে, রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেল থেকে বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলন করে বেশ কয়েকটি সংগঠন ও ছাত্রজনতা। রাত ৮টার দিকে তাদের মধ্যে কিছু আন্দোলনকারী বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় গাছের শুকনো ডাল ভেঙে এনে আগুন ধরিয়ে দেন। একাংশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টাও করে। একপর্যায়ে পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্র্যানেডে সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হন। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের হামলায় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন।