রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সংসদে নারীর জন্য ১০০ আসন চান বদিউল আলম মজুমদার রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিবেশীদের আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ ২৮ বছরে প্রথমবার কলকাতার বইমেলায় নেই বাংলাদেশ বাচ্চারা জীবন দেয় আর মুরব্বিরা পদ ভাগাভাগি করেন : হাসনাত পল্লবীতে দুই শিশুপুত্রকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনায় প্রত্যাশিত অগ্রগতি নেই’ যে কারণে অপহরণ করা হয় আজিমপুরের সেই শিশুকে উত্তরবঙ্গের ৩ বিভাগে কি একজনও যোগ্য লোক নেই : সারজিস তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার কেউ যেন অর্থপাচার না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে যাবো : অর্থ উপদেষ্টা
সারজিস-হাসনাতের দাবির ব্যাপারে যা বললেন জাপা মহাসচিব

সারজিস-হাসনাতের দাবির ব্যাপারে যা বললেন জাপা মহাসচিব

স্বদেশ ডেস্ক:

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জানা গেছে, সংলাপে এখনো আমন্ত্রণ পায়নি জাতীয় পার্টি (জাপা)। জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না তা জানা না গেলেও, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।

গত ৭ অক্টোবর মধ্যরাতে এক ফেসবুক পোস্টে সারজিস লিখেছেন, ‘জাতীয় পার্টির মতো মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদের প্রধান উপদেষ্টা কীভাবে আলোচনায় ডাকে?’

অনেকটা একই ধরনের স্ট্যাটাসে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করবো।’

তবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সংলাপে ডাক পাওয়া কিংবা না পাওয়ার বিষয়টিকে তেমন বিবেচনায় নিচ্ছেন না। তার কথা, ডাকা না ডাকা, সরকারের বিষয়। তারা তাদের মতো করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন।

দুই সমন্বয়কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে জাপা মহাসচিব বলেন, কেউ যদি এমন কথা বলতে চায়, তাহলে বলতেই পারে। কিন্তু মাঠে এভাবে বলে লাভ নেই। আমাদের জিজ্ঞেস করলে আমরা আমাদের মতো করে উত্তর দিব। এটার পক্ষে-বিপক্ষে দুইটাতেই যুক্তি আছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা শেষ সংলাপে ডাক পেয়েছিলাম। তখন পাঁচজন গিয়ে মিটিং করছি। এবার যে সংলাপ হবে সেটার ডাক এখনো পাই নাই। উনারা প্রয়োজন মনে করলে ডাকবে, আর প্রয়োজন মনে না করলে ডাকবে না। এটা উনাদের বিষয়। আমরা এটার জন্য বসে নেই, আমাদের রাজনীতি যেটা, আমরা করব। আমরা একটা বৃহৎ ও পুরনো রাজনৈতিক দল, আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরা করবো।

বিগত সরকারের সময় কোন ধরনের পরিস্থিতিতে জাতীয় পাটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করেন চুন্নু। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে সকল দল নির্বাচনে এসেছে। ২০১৪ সালে আমাদের নেতা নির্বাচনে যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারপর একটা পর্যায়ে এসে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। তখন উপজেলাসহ বিভিন্ন নির্বাচন হয় সেখানে কিন্তু বড় বড় দলগুলো অংশগ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালে আমরা যেমন পার্লামেন্টে ছিলাম তেমন বিএনপিসহ বিভিন্ন দল কিন্তু চার বছর পার্লামেন্টে ছিল। এরপর ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করে। আমরা কী অবস্থায় নির্বাচনে এসেছি তা আমাদের চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করে স্পষ্ট করেছেন। মূলত জাতীয় পার্টিকে জোর করে নির্বাচনে আনা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877