স্বদেশ ডেস্ক: কালো ব্লেজারের উপর জ্বলজ্বল করছে বিসিসিআইয়ের লোগো। ব্লেজারটি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময়ের। অবসরের পর কখনও ব্লেজারটি গায়ে চাপাননি। সেই ব্লেজারটি পরেই ভারতীয় ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটল মহারাজের। আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে জানালেন, ভারতের অধিনায়ক হিসেবে যেমন অনুভূত হয়েছিল, আজও ঠিক তেমনটাই লাগছে তাঁর। অনুরাগ ঠাকুরের পর তিনিই যে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন, তা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে সেই পদে আসিন হলেন দাদা। আর ভারতীয় ক্রিকেটে শুরু হল দাদাগিরির নতুন পর্ব। আগামী দশমাসে যে কাজের তালিকাটা বেশ দীর্ঘ, তা তাঁর মন্তব্যেই স্পষ্ট। কোন কোন দিকগুলিতে মূলত নজর থাকবে তাঁর? সবটাই খুলে বললেন।
প্রসঙ্গ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট: ঘরোয়া ক্রিকেটই আমাদের কোহলি-ধোনি-রাহানে-রোহিতের মতো তারকা ক্রিকেটারদের উপহার দিয়েছে। তাই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, রনজি ট্রফির দিকে বিশেষ নজর থাকবে। রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনগুলির সঙ্গে কথা বলব।
প্রসঙ্গ ধোনির ভবিষ্যৎ: আগামিকালই জাতীয় নির্বাচকদের সঙ্গে বসব। কোহলির সঙ্গেও কথা বলব। সকলের অবস্থান বুঝতে হবে। ধোনি কী চায়, সেটা জানাও জরুরি। দেশের অন্যতম সেরা তারকা ও (ধোনি)। আর চ্যাম্পিয়নরা কখনও হারিয়ে যায় না। আমি যখন দল থেকে বাদ পড়েছিলাম, অনেকেই বলেছিল আর ফিরতে পারব না। কিন্তু তেমনটা হয়নি। ধোনিও সব ক্ষেত্রে সফল। ও ভাল ব্যাটসম্যান, সফল অধিনায়ক।
প্রসঙ্গ কোহলি-শাস্ত্রী: আমার মতে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হল অধিনায়ক। তাই যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ওর মতামত অত্যন্ত জরুরি। আর নেতা হিসেবে কোহলি দারুণ সাফল্য পেয়েছে। ও যা যা চাইবে, আলোচনার মাধ্যমে তেমনটা করার চেষ্টা করা হবে। আমরা চেষ্টা করব কোহলি-শাস্ত্রীদের জন্য সবকিছু যাতে সহজ হয়। কোনও সমস্যা না হয়। ভারতকে বিশ্বের সেরা দল করে তুলবে সবরকম প্রয়াস করব। কারণ শেষ কথা বলবে পারফরম্যান্সই।
প্রসঙ্গ আইসিসি: গত পাঁচ বছরে আইসিসির থেকে ৩৭২ মিলিয়ন অর্থ পায় ভারত। এবিষয়ে আমরা অবগত। দেখতে হবে, কীভাবে অর্থ আদায় করা যাবে। আলোচনার মাধ্যমে সব ঠিক করব।
প্রসঙ্গ স্বার্থের সংঘাত: এটা একটা বড় ইস্যু। সিওএ একটি নিয়ম এতদিন চলেছে। আমাদেরও দেখতে হবে এই নিয়ে যেন আর কোনও ধন্দ না থাকে। নিয়মের কোনও বদল আনা সম্ভব বা প্রয়োজন কি না, সেটাও দেখব।
প্রসঙ্গ ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ: আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের ভারত সফর বাতিল হবে না। ২২ নভেম্বর ইডেনে টেস্ট রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও কথা হয়েছে। কলকাতায় আসার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন তিনি। তবে ওটা (বাংলাদেশ ক্রিকেটার ও বোর্ডের অন্তর্দ্বন্দ্ব) ওদের দেশের নিজস্ব বিষয়। এখানে আমার কোনও মন্তব্য করা সাজে না।