ব্যাটিংয়ে কোল্টারনাইলের মহাগুরত্বপূর্ণ ইনিংসের পর বোলিংয়ে স্টার্ক ঝড়। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও হেরে গেল ক্যারিবীয়রা। মূলত স্টার্কের গতির কাছে নাজেহাল হয়ে এই ম্যাচে ১৫ রানের হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নটিংহামে এই ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। এই পেসারের করা ৪৬ ওভারে যখন ক্রিজের দুই সেট ব্যাটসম্যান হোল্ডার-ব্র্যাথওয়েট আউট হয়ে যান তখনই ক্যারিবীয়দের জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়।
ক্যারিবীয়দের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন শাই হোপ। ৫১ রান করে আউট হন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। একমাত্র এভিন লুইস (১) ছাড়া প্রথমসারির সব ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের দেখা পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন নিকোলাস পুরান। ক্যারিবীয়দের ইনিংস থামে ৯উইকেটে ২৭৩ রানে।
অজিদের হয়ে দুই পেসারই নেন সাত উইকেট। স্টার্ক পাঁচ ও প্যাট কমিন্স নেন একটি উইকেট। একটি উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৮০ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ধাক্কা সামলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগে ২৮৮ রান করে ক্যারিবীয়দের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় অজিরা।
শুরুর সেই ধাক্কা সামলে ওঠার কারিগর স্টিভ স্মিথ ও নাথান কোল্টারনাইন। দুজনের অর্ধশতকে ৩০০ রানের কাছাকাছি স্কোর গড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। স্মিথের সঙ্গে জুটি বেধে অ্যালেক্স কারে ৪৫ রান করে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
স্মিথ-কারের ৬৮ রানের জুটি দিয়েই মূলত ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। কারে ৪৫ রান করে আউট হলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর কোল্টারনাইলের সঙ্গে স্মিথের ১০২ রানের জুটিতেই মূলত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় অজিরা। স্মিথ ৭৩ রান করে আউট হলে ভাঙে সেই জুটি।
সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন কোল্টার নাইল। দুই ওপেনার ওয়ার্নার ৩ ও ফিঞ্চ আউট হন ছয় রান করে। খাজার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। ম্যাক্সওয়েল আউট হন কোনো রান না করেই। এছাড়া স্টোইনিস ১৯ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
দুই দল বড় জয় দিয়ে শুরু করে বিশ্বকাপের মিশন। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করে।
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজও বড় জয় দিয়ে শুরু করে বিশ্বকাপের যাত্রা। ক্যারিবীয়রা পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করে।