স্বদেশ ডেস্ক:
কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাধ্য হয়েই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা) ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। না পেরে তারপর আমাদের সেনাবাহিনীকে আসতে হয়েছে। যেখানে না পেরেছে, সেখানে বাধ্য হয়ে, জীবনরক্ষার জন্য, দেশের সম্পদ রক্ষার জন্য গুলি করতে বাধ্য হয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোট কতগুলো গুলি করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিকরা) জানেন, সব হিসাব-নিকাশ আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাখেন। এখানে কোনো একটি গুলি, কোনো একটি মৃত্যু যদি অনাকাঙ্ক্ষিত হয়, তাহলে একটা তদন্ত হয়, সেগুলো হবে ইনশাল্লাহ। ইতোমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিআরপিসি ও অন্যান্য আইনে দেওয়া আছে তার (পুলিশের) জীবনরক্ষা করার। কাজেই পুলিশ বাহিনীর যা যা করার দরকার তা অতি ধৈর্য্যের সঙ্গে করেছে। তারা প্রথমে বলেছে, ধাক্কিয়েছে, সরে যেতে বলেছে, যায়নি (আন্দোলনকারীরা)। আপনারা দেখেছেন টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে, যায়নি। জলকামানের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে আগুন ধরেছে, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে চেয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘উত্তরায় কি যে বিভৎস! গাজীপুরে আমাদের জনপ্রিয় মেয়র (সাবেক) জাহাঙ্গীরের এক স্টাফের লাশকে কীভাবে ঝুলিয়ে রাখছে। ওখানে আমাদের পুলিশ বাহিনী যেতে গিয়েও যেতে পারে নাই। পুলিশ বাহিনী ফেরত আসছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব/সিনিয়র, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।