শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

শিক্ষার্থীদের ৮ বার্তা দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

শিক্ষার্থীদের ৮ বার্তা দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

স্বদেশ ডেস্ক:

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আটটি বার্তা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর মধ্যে রয়েছে হতাহতদের তালিকা তৈরি, হত্যা ও হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খুলে দেয়ার চাপ তৈরি করা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব বার্তাসংবলিত একটি বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও রিফাত রশীদ। ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো: নাহিদ ইসলামের বক্তব্য’ শিরোনামে বিবৃতিটি পোস্ট করা হয়।

বার্তাতে যা বলা হয়েছে
বিবৃতিতে দেয়া বার্তাগুলো হলো রংপুরের আবু সাঈদসহ নিহতদের স্মরণ করুন; তাদের কবর জিয়ারত করুন; পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান; হাসপাতালে থাকা আহতদের যথাসম্ভব সহযোগিতার চেষ্টা করুন; সক্ষমতা থাকলে নিহতদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে সহায়তা করুন; মর্যাদার সাথে দাফন ও জানাজায় অংশ নিন; হতাহতদের তালিকা তৈরি ও পরিবারের সাথে যোগাযোগ করুন; হত্যা ও হামলায় সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করে রাখুন; যারা যে স্থানে আন্দোলন করেছেন, নতুন করে সংগঠিত হন; নিরাপদে থাকুন, চিকিৎসা নিন ও গ্রেফতার এড়ান; ফেসবুকে ক্ষোভ না ঝেড়ে মাঠের প্রস্তুতি নিন; ইন্টারনেটনির্ভর না হয়ে বিকল্প কিছু পরিকল্পনা করুন; আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে দ্রুত সবার সাথে যোগাযোগ করব; শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস ও হল খোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাপ দিন; শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং প্রবাসীরা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ক্র্যাকডাউন ও হত্যা-নিপীড়নের ঘটনা প্রচার করুন এবং দেশে আন্দোলনরত ছাত্র-নাগরিকদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ান।

আপিল বিভাগের রায়ের পর কোটা সংস্কার করে সরকারের দেয়া প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও অন্য অংশীজনদের সাথে আলোচনা ছাড়াই কোটা সংস্কারের যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেটিকে তারা চূড়ান্ত সমাধান মনে করছেন না। তারা মনে করেন, যথাযথ সংলাপের পরিবেশ তৈরি করে নীতিনির্ধারণী জায়গায় সব পক্ষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। অংশীদারদের অংশগ্রহণে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে, যা কোটাপদ্ধতির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ ও তদারক করবে। কোটার যেকোনো পরিবর্তন এই কমিশনের সুপারিশ সাপেক্ষে হতে হবে। এ ছাড়া সংসদে আইন পাসের বিষয়টি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তাই কোটা সমস্যার এখনো চূড়ান্ত সমাধান হয়নি। ২০১৮ সালেও আন্দোলনের চাপে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল। ছয় বছর পরই সেটি বাতিল হয়। তাই এই পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপনের ‘খেলায়’ তাঁরা আর বিশ্বাস করেন না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আর কেবল কোটা সংস্কারের বিষয়ে সীমাবদ্ধ নেই। তাই প্রজ্ঞাপন জারির সাথেই এ আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটবে না।

ছাত্র-নাগরিক হত্যা ও গুম-খুনের বিচার, রাষ্ট্রীয় ক্ষয়ক্ষতির বিচার, মামলা প্রত্যাহার ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি, আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ এবং সব ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী রাজনীতির উৎখাত ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিচারের দাবিতে’ দফাভিত্তিক আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877