স্বদেশ ডেস্ক:
কোটায় চাকরি পাওয়া ভারতের আলোচিত সরকারি কর্মকর্তা পুজা খেড়কারের প্রশিক্ষণ বাতিল করে অ্যাকাডেমি থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাকে নিয়ে বিতর্ক শুরুর পর এই প্রথম সরকারের পক্ষ থেকে এত বড় পদক্ষেপ নেওয়া হলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
পুজা খেড়কার ভারতীয় প্রশাসন ক্যাডার আইএএসের ২০২৩ ব্যাচের কর্মকর্তা। মানসিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার দাবি করে বিশেষ কোটায় চাকরি নিয়ে এবং নিজের ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে কয়েকদিন ধরে দেশটিতে তাকে নিয়ে আলোচনার ঝড় চলছে। তিনি তার ব্যক্তিগত বিলাসবহুল সেডান গাড়িতে সাইরেন, ভিআইপি নম্বর প্লেট এবং ‘মহারাষ্ট্র সরকার’ স্টিকার ব্যবহারসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। এমনকি দায়িত্ব পালনকালে অধিকার না থাকলেও তাকে পুনের অতিরিক্ত কালেক্টর অজয় মোরের অফিস ব্যবহার করতেও দেখা গেছে। ইতিমধ্যে তাকে পুনে থেকে বদলি করা হয়েছে।
পুজা খেড়কারের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনাকে এখন থেকে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের জেলা প্রশিক্ষণ প্রকল্প থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। যতদ্রুত সম্ভব আপনি অ্যাকাডেমিতে ফিরে আসুন।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পুজাকে লাল বাহাদূর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব তাকে সেখানে যেতে হবে তবে তা যেন ২৩ জুলাইয়ের বেশি দেরি না হয়। এই অ্যাকডেমিতে ভারতীয় প্রশাসনিক সার্ভিস কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে।
২৩ বছর বয়সী পুজা এখনো কোনো মামলার মুখে পড়েননি। তবে তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তে দোষী প্রমাণ হলে সরকারি চাকরি হারাবেন পুজা। তার সঙ্গে অভিযুক্ত হয়েছেন বাবা-মাও। তার মায়ের অস্ত্র হাতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার পুজা খেড়কার দাবি করেন, ‘আমি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছি। আমাকে অভিযুক্ত বলা যেতে পারে কিন্তু একদম দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে।’