স্বদেশ ডেস্ক:
গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধের জন্য ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বড় ধরনের ছাড় দিয়েছে বলে একটি ইসরাইলি সূত্র দাবি করেছে। আর এই প্রেক্ষাপটেই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনার জন্য ইসরাইলি আলোচক দলকে অনুমতি দিয়েছেন। তবে ঠিক কী ছাড় দেয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।
ইসরাইলি আলোচক দলের একটি সূত্র বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে জানায়, হামাসের প্রস্তাবে ‘খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়’ রয়েছে।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ওই ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি আলোচনাকে এগিয়ে নিতে পারে। সত্যিকারের বাস্তবায়নযোগ্য একটি চুক্তি হতে পারে। ধারাগুলো সহজ না হলেও চুক্তিটি বাতিল করা ঠিক হবে না।’
এদিকে এক মার্কিন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, হামাস বেশ বড় প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি আশা করেন, এর ফলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথে এগিয়ে যেতে একটি চুক্তি হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, তবে এখনৈা বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। ফলে কয়েক দিনের মধ্যে চুক্তি হয়ে যাবে, এমনটি আশা করা ঠিক হবে না।
ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার রাতে আলোচক দলকে আলোচনায় অংশ নিতে অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার টেলিফোনে এ নিয়ে কথা বলেছেন। তারা কাতার ও মিসরের মধ্যস্ততায় চলমান আলোচনায় অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন।
তবে নেতানিয়াহু আবারো বলেছেন, ইসরাইলের সব লক্ষ্য অর্জিত হলেই কেবল যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে। এর এক মুহূর্ত আগেও যুদ্ধ বন্ধ হবে না।
ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়া কাতারে মধ্যস্ততাকারীদের সাথে আলোচনায় বসবেন। শুক্রবার তার কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানির সাথেও বসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, নেতানিয়াহু চুক্তির পক্ষে। তবে তার সরকারের উগ্র মন্ত্রীদের জন্য, বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী বেজালের স্মট্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের জন্য তা পারছেন না। তারা যেকোনো চুক্তিকে ভণ্ডুল করে দিতে পারেন।
মধ্যস্ততাকারীরা যুদ্ধবিরতির জন্য ছয় মাস ধরে চেষ্টা করলেও তেমন সাফল্য পাননি। হামাস জোর দিয়ে বলছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলের পূর্ণ প্রত্যাহার ছাড়া তারা কোনো চুক্তি তারা মেনে নেবে না।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, আল জাজিরা