স্বদেশ ডেস্ক:
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রবাসী নেতারা কাতার থেকে ইরাক চলে যাচ্ছেন বলে খবরে প্রকাশ। ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে না নেয়ায় তাদেরকে কাতার ছাড়তে হচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
দি ন্যাশনাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকি সরকার গত মাসে হামাস নেতাদের গ্রহণ করার বিষয়টি অনুমোদন করে। সেখানে হামাস নেতাদের সুরক্ষা এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদানের দায়দায়িত্ব ইরান নেবে বলে এক ইরাকি এমপি জানিয়েছেন। তবে হামাস এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তাদের কাতার থেকে ইরাকে যাওয়া নিয়ে প্রকাশিত খবরে কোনো সত্যতা নেই।
দি ন্যাশনালে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং ইরাকি ও ইরানি সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠ ওই ইরাকি এমপি আরো দাবি করেন, হামাস নেতাদের বাগদাদে চলে আসা নিয়ে ইরাকি রাজনৈতিক গ্রুপগুলোর মধ্যে কোনো ঐকমত্য হয়নি। অনেকে মনে করছে, এর ফলে বাগদাদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে দূরত্ব আরো বাড়বে। কিন্তু এই মতানৈক্য সত্ত্বেও ইরাক সরকার হামাস নেতাদের বাগদাদে থাকতে দিতে রাজি হয়েছে। তবে ইরাকি সরকার এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
তবে কবে নাগাদ হামাস নেতারা বাগদাদে যাবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। হামাস সম্প্রতি বাগদাদে একটি রাজনৈতিক অফিস খুলেছে। এই অফিসের দায়িত্বে রয়েছেন সিনিয়র কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল হাফি।
গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে হামাস নেতারা বাগদাদ চলে যেতে পারেন বলে খবরটি প্রকাশিত হলো। যুদ্ধবিরতি প্রশ্নে অগ্রগতি না হওয়ার জন্য হামাসকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে হামাস বলছে, ইসরাইল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়ায় তা হচ্ছে না।
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি না হলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে কাতার থেকে হামাস নেতাদের বহিষ্কার করার হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট