স্বদেশ ডেস্ক:
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে আলটিমেটাম দিয়েছে কাতার। দেশটি বলেছে, হামাস যদি চুক্তিটি না করে তবে তাদের নেতাদেরকে কাতার থেকে বহিষ্কার করা হবে। সিএনএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি হাসিলের জন্য মার্কিন কূটনৈতিক অভিযানের অংশ হিসেবেই কাতারকে দিয়ে এই চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। একইসাথে মার্কিনিরা চুক্তিটি গ্রহণ করতে ইসরাইলের ওপরও তীব্র চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
হামাস জানিয়েছে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা করা চুক্তিটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে। তবে চুক্তিটি গ্রহণ করা বা প্রত্যাখ্যান করার কথা তারা এখনো জানায়নি। তারা বলছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা না থাকলে তারা কোনো চুক্তিতে রাজি হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস ধরে কাতারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে, যাতে তারা হামাসকে চুক্তিতে রাজি করায়। একইসাথে কাতারকে বলছে, হামাস যদি চুক্তিতে সই না করে, তবে তাদেরকে যেন দেশটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, মার্কিন চাপের পর হামাসকে কাতার সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে যে চুক্তি হতে ব্যর্থ হলে তাদেরকে কাতার থেকে বহিষ্কার করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র একইসাথে মিসরের ওপরও চাপ সৃষ্টি করছে। হামাস যদি চুক্তিতে রাজি না হয়, তবে মিসরীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেয়ার ঘোষণা দেয়ার জন্য মিসরকে বলছে মার্কিনিরা।
মার্কিন কর্মকর্তারা সিএনএনকে বলেন, কূটনৈতিক কার্যক্রম চলছে। হামাসের ওপর মিসর চাপ বাড়াচ্ছে।
এখন পর্যন্ত এসব চাপ কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে, তা জানা যায়নি।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট
ইসরাইলি ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে ৯ সৈন্য আহত
ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে দেশটির নয় সৈন্য আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। সেনাবাহিনী বুধবার এ কথা জানিয়েছে।
মঙ্গলবারের বিস্ফোরণ বিষয়ে সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি সামরিক ঘাঁটিতে এ বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’
এতে আরো বলা হয়, আহত সৈন্যদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, নেগেভ মরুভূমিতে একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণটি ঘটে।
৭ অক্টোবর গাজা থেকে চালানো হামাসের হামলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী হামাসকে ধ্বংস করার জন্য জোরালো অভিযান শুরু করার পর সেখানে এ বিস্ফেরণ ঘটলো।
ইসরাইলের সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এএফপি পরিবেশিত খবরে বলা হয়, ইসরাইলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১,১৯৪ প্রাণ হারিয়েছে। এদের বেশিভাগই বেসামরিক নাগরিক।
এদিকে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক হামলায় কমপক্ষে ৩৬,৫৫০ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। যাদের বেশিভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং নারী ও শিশু।
সূত্র : এএফপি