স্বদেশ ডেস্ক:
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে গান্ধীনগর আসনে দুই লাখের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির এই নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডান হাত হিসেবে পরিচিত।
গান্ধীনগর আসনটির অবস্থান ভারতের গুজরাট রাজ্যে। আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হয়। সকাল পৌনে ১০টার তথ্য অনুযায়ী, ভোট গণনার প্রাথমিক পর্যায়ে ২১ হাজার ৬৭৪ ভোটে এগিয়ে ছিলেন অমিত শাহ।
এনডিভির সর্বশেষ তথ্য বলছে, আসনটিতে ২ লাখের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন অমিত শাহ। গান্ধীনগর লোকসভা আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী সোনাল প্যাটেলের মুখোমুখি হন শাহ।
একসময় গান্ধীনগর আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন বিজেপির লালকৃষ্ণ আদভানি। তিনি ভারতের উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বিজেপির অটল বিহারি বাজপেয়ীও এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
গান্ধীনগর আসনে গত ৭ মে ভোট হয়। আসনটি ১৯৮৯ সাল থেকে বিজেপির দখলে রয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে গান্ধীনগর আসনে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী অমিত শাহ প্রায় ৬ লাখ ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হন।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটে বিজেপি এখন পর্যন্ত ২৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এর মধ্যে সুরাট আসনটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা দলটি গুজরাটে ২০১৪ সালে ও ২০১৯ সালে ২৬টি আসন জিতেছিল।
তবে এবারের লোকসভার নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ভোট গণনার ফল বিজেপির জন্য বড় একটি ধাক্কা হয়ে এসেছে। সরকার গঠনে দলটি এখন পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিশ্চিত করতে পারেনি। অন্যদিকে, বিরোধী দল আশাতীত ভালো করছে।
এদিকে, উত্তর প্রদেশের রায়বেলিতে বিপুল ব্যবধানে জয় লাভ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া এক পোস্টে পরাজয় স্বীকার করেছেন তার প্রতিপক্ষ বিজেপি নেতা দীনেশ প্রতাপ সিং।
ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়। দুপুর ১টা ৪২ মিনিটের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, রাহুলের কাছে দীনেশ পরাজয় স্বীকার করেন।
এক ফেসবুক পোস্টে দীনেশ বলেন, তিনি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। রায়বেরেলির জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা করেছেন। এই সেবাকালে যদি তার চিন্তা, কথা বা কাজে কোনো ভুল হয়ে থাকে কিংবা তিনি কাউকে আহত করে থাকেন, তাহলে তিনি ক্ষমা চান।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, কংগ্রেসের রাহুল এই আসনে বিজেপির দীনেশের চেয়ে ২ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। এ পর্যন্ত রাহুলের প্রাপ্ত ভোট ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯১৪। দীনেশের প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭০।
উল্লেখ্য, রায়বেরেলি কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই আসনে গত ২০ মে ভোট হয়। লোকসভা নির্বাচন গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয়। শেষ হয় ১ জুন। গত শনিবার ভোট শেষ হওয়ার পরই শুরু হয় বুথফেরত জরিপের (এক্সিট পোল) ফলাফল প্রকাশ। প্রতিটি বুথফেরত জরিপ আভাস দেয়, এ নির্বাচনে আবার জিতছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির এনডিএ জোট। তবে এসব বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাস নাকচ করে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে ও সংবাদ প্রতিদিন