মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন

মাস্টার্সেও পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির কথা ভাবা হচ্ছে: ঢাবি উপাচার্য

মাস্টার্সেও পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির কথা ভাবা হচ্ছে: ঢাবি উপাচার্য

স্বদেশ ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মাস্টার্সেও (স্নাতকোক্তর) পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তির কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ‘নবীনবরণ ও অগ্রায়ন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. রাশেদা ইরশাদ নাসির এবং বিভাগের শিক্ষকরা।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘এখন লাইব্রেরিতে সবাই বিসিএস পড়তে যায়। দু-একজন হয়তো শ্রেণির বই পড়ার জন্য যায়। এর অর্থ, যে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে, সে বিষয়ে তারা আনন্দ পায় না। আনন্দ পেলে পাঠ্যসূচি নির্ভর পড়াশোনা তাদের ধ্যান-জ্ঞান হওয়ার কথা। সে কারণে আমরা বর্তমানে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী ভর্তি করি, সে পরিমাণ শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে ভর্তি করার প্রয়োজন আছে কি না তা ভাবতে হবে। এখন কেবল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়। সে পরীক্ষার ভিত্তিতেই মাস্টার্সে ভর্তি করানো আইনগতভাবে বৈধ কি না, তাও আমাদের ভাবতে হবে।’

মাকসুদ কামাল বলেন, ‘মাস্টার্সে যারা যাবে তারা সংখ্যায় বেশি হবে না। যারা বিষয়ের ওপর গবেষণা করবে, ক্যারিয়ার নির্মাণ করবে— তারা হয়তো মাস্টার্সে পড়াশোনা করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আগামী বছর থেকে হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত কার্ড পান্স করে প্রবেশ করতে হবে। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারবে না। লাইব্রেরিতেও একই প্রক্রিয়ায় চালু করছি। যারা কেবল বিসিএস পড়তে যায়, তারা আগামী মাস থেকে লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে পারবে না।’

নিজের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ নিয়ে ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘আমার শেকড় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল বলেই এ পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। সাংবাদিকতা বিভাগ বৈচিত্রময়। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা নানা জায়গায় অবদান রাখছে।’

সাংবাদিকতা পেশাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখন যে কেউ চাইলে সাংবাদিক হয়ে যান। হাতে একটি ফোন থাকলেই হয়; এটি অপ-সাংবাদিকতা। এসব বিষয় নিয়ে একটি সেমিনার করা যেতে পারে।’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ বলেন, ‘করোনার কারণে অনেকগুলো ব্যাচকে আমরা ‘‘নবীনবরণ ও অগ্রায়ন’’ দিতে পারিনি। দীর্ঘদিন পর আবারও সে সুযোগ হলো। সামনে তা অব্যাহত থাকবে।’

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিভাগের ৯ম, ১০ম, ও ১১ তম ব্যাচকে অগ্রায়ন এবং ১৩তম, ১৫তম, ১৬তম ও ১৭তম ব্যাচকে নবীনবরণ দেওয়া হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877