স্বদেশ ডেস্ক:
পুনরায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রতিনিধি।
শনিবার (৬ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
হামাসের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র আলজাজিরাকে জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য রোববার কায়রোতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে।
হামাস বলেছে, যেকোনো আলোচনা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ভিত্তিতে শুরু হওয়া উচিৎ। তাই তাদের দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী প্রত্যাহার এবং বাস্তুচ্যুত লোকদের তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়া ইত্যাদি।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা গাজা উপত্যকা থেকে বন্দী এলাদ কাটজিরের লাশ উদ্ধার করেছে।
হামাসের আরেক কর্মকর্তা বাসেম নাইম এর আগে আলজাজিরাকে জানান, তারা মূল দাবি থেকে পিছপা হবেন না। এর অর্থ হল তারা আশা করেন যে ইসরাইল গাজা উপত্যকা থেকে তাদের সৈন্য সরিয়ে ফেলবে।
নাইম বলেন,‘এখানে বল আমাদের কোর্টে নেই। এটা অন্য দিকে, যারা গাজা উপত্যকার ক্রমাগত দখলের ওপর জোর দিচ্ছে।’
সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস তার মিসরীয় প্রতিপক্ষের সাথে আলোচনায় অংশ নেবেন। ইসরাইলি পক্ষ এই আলোচনায় প্রতিনিধিদল পাঠাবে কিনা তা এখনো জানায়নি।
বার্তা সংস্থা দ্য এপির মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে চিঠি লিখে ইসরাইলের সাথে চুক্তির জন্য হামাসকে চাপ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক দিনগুলিতে, বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার জন্য নেতানিয়াহুর ওপর প্রচুর চাপ প্রয়োগ করেছে এবং যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত হওয়ার পেছনে নেতানিয়াহু দায়ী করেছে।
তবে হামাস বলছে, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সেখান থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনের সুযোগ না দেয়া হলে তারা কোনো শান্তিচুক্তি করবে না। তারা মনে করছে, বন্দীদের মুক্তি দিয়ে ইসরাইল আরো ভয়াবহভাবে হামলা চালাবে।
উল্লেখ,৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩৩ হাজার ১৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৫ হাজার ৮১৫ জন আহত হয়েছে। অপরদিক হামাসের হামলায় ইসরাইলে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৯ জন। এখনো বন্দী রয়েছে অসংখ্য মানুষ।
সূত্র : আলজাজিরা, এএফপি