রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন

জিয়াউর রহমানকে অসম্মান করা মানে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা : মির্জা ফখরুল

জিয়াউর রহমানকে অসম্মান করা মানে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা : মির্জা ফখরুল

স্বদেশ ডেস্ক

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ছোট করা, অসম্মান করা, খাটো করা মানে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার দুপুরে রমনার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে বিতর্ক করার কিছু নেই। এটি বিতর্ক করলে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক করা হবে। যারা বিতর্ক করে, তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নয়।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছিল, যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল প্রত্যেকের লক্ষ্য ছিল একটা, সেটি হলো গণতন্ত্র। এ সরকার ১৫ বছরে গণতন্ত্র নিয়ে কোনো কাজ করেনি, বরং ক্ষমতায় টিকে থাকতে নির্বাচন ক্ষমতা কেন্দ্রিক ব্যবহার করেছে। এমনি যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাদের জেলে পুড়েছে।

‘দেশটা দুটা ভাগে ভাগ করেছে সরকার। একটি হলো আওয়ামী লীগ, আর একটি বিরোধী দল। শুধু তাই নয়, বর্ণবাদ সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, দোকান ও ব্যবসা দখল করে নিচ্ছে।’

তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান। এমন কি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এসেছিল। গণতন্ত্রের জন্য যা কিছু হয়েছে আমাদের নেতা আর নেত্রীর হাত ধরে।

‘বিচার ব্যবস্থাকে আজ তছনছ করে দিয়েছে এরা, বিচারের বাণী আজ নিভৃতে কাঁদে। একটা জায়গাতে ন্যায় বিচার নেই।’

তরুণদের আরো শক্ত করে জেগে উঠতে হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের একমাত্র কাজ মানুষকে জাগিয়ে তোলা। সংগঠিত করা। এর মধ্য দিয়ে ১৫ বছর ধরে যে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি তার পতন নিশ্চিত করা।

সংগ্রাম ও আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে নেতাকর্মীদের জানান মির্জা ফখরুল।

জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আলোচনা সভার সভাপতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জিয়াউর রহমানকে কে লেখা পাঠিয়ে দিয়েছেন। কার লেখা পাঠ করেছেন। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে কাউকে তো খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধু কথা বলার রাজনীতি করলে হয় না।

‘শেখ মুজিবর রহমান একজন বড় মাপের নেতা। তাকে আমরা শ্রদ্ধা করি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ টেপ রেকর্ডার নিয়ে গেলে স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি শেখ মুজিবর রহমান। যখন মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন হচ্ছিল তখন কেউ নামেনি, নেমেছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা।’

কোথায় আজ গণতন্ত্র এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই গণতন্ত্রের জন্যই নিরীহ মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। এখন গলা ফাটিয়ে বক্তব্য দেন ক্ষমতাসীনরা।

মন-মানসিকতার দিক দিয়ে আমরা আফ্রিকার জঙ্গলে আছি জানিয়ে তিনি বলেন, সেতু, ব্রিজ দিয়ে কি হবে। এটা তো উন্নয়ন নয়। যেখানে আমি আমার ভোট দিতে পারি না।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেজর অব. হাফিজ বলেন, যুদ্ধ করে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে, ইনশা আল্লাহ বিএনপির বিজয় হবে। গণতন্ত্রের বিজয় হবে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877