স্বদেশ ডেস্ক:
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি অবস্থান করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। এক এক্স হ্যান্ডলে শুক্রবার (২২ মার্চ) বিষয়টি জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী।
ইইউর নৌবাহিনী নিজস্ব এক্স পোস্টে একটি ভিডিও ও তিনটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, ইইউর আটলান্টা অপারেশনের যুদ্ধজাহাজটি এমভি আবদুল্লাহ থেকে মাত্র কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জিম্মি জাহাজের কাছাকাছি উড়ছে যুদ্ধজাহাজটির একটি হেলিকপ্টার।
ইইউ নৌবাহিনী আরও বলেছে, ভারত মহাসাগরে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে গত পাঁচমাসে জলদস্যুরা একাধিক জাহাজে আক্রমণ করেছে। এরমধ্যে তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা হয়েছে। যার মধ্যে একটি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এখনো জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই এলাকায় মোতায়েন থাকা আটলান্টা অপারেশনের যুদ্ধজাহাজ জিম্মি জাহাজে নজর রাখছে।
এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে । জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।
জাহাজটির মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপ জানিয়েছে, জলদস্যুরা গত বুধবার প্রথমবারের মতো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। মুক্তিপণের কথা এখনো তারা কিছু বলেনি।
নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে কোনো সামরিক অভিযান বা সহিংস কর্মকাণ্ড চায় না জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান।
এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, সাগরে ইইউর যুদ্ধজাহাজ নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের লক্ষ্য কেবল নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা।
মিজানুল ইসলাম আরও বলেন, জাহাজটিতে থাকা নাবিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা কোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপ সমর্থন করছি না। একই চাওয়া সরকারেরও।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইইউর যুদ্ধজাহাজ দস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজের কাছাকাছি যাওয়া বাংলাদেশের নাবিকদের জন্য নেতিবাচক।